ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২, ০২:৪৯ পিএম
ময়লার স্তূপে পরিণত হওয়া রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকের জায়গাটি এখন ‘উন্মুক্ত লাইব্রেরি’ হিসেবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। এই লাইব্রেরিটি আগামিকাল রবিবার থেকে সকাল-রাত খোলা থাকবে।
টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকের বেশকিছু ভাসমান খাবারের দোকান ছিল। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই খাবারের েদোকানগুলো তুলে দিলে জায়গাটি ধীরে ধীরে পরিণত হয় ময়লার স্তূপে। তবে এখন আর এই পরিবেশ চোখে পড়ে না। তার বদলে চোপ্রবেশপথে চোখে পড়ে সুশোভিত ‘উন্মুক্ত লাইব্রেরি’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সদস্য ও ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক উপ-সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত নিজ অর্থায়নে এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
উন্মুক্ত লাইব্রেরি বিষয়ে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, “উন্নত দেশগুলোতে পাবলিক পার্কে উন্মুক্ত লাইব্রেরি রয়েছে। আমার মনে হয়েছে, আমাদের দেশেও এ ধরনের লাইব্রেরি শুরু হওয়া দরকার। আমার ছোটবেলার স্বপ্ন, বাংলাদেশের প্রতিটি পার্কে উন্মুক্ত জায়গায় মানুষ চাইলে বই পড়তে পারবে।”
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে সৈকত বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক জায়গা,এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ৭ মার্চের ঐতিহ্য। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশে জায়গাটি। এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গার মাঝখানটা কেন অবহেলিত থাকবে? সেই ভাবনা থেকে আমার এই উদ্যোগ।”
মানুষের চিন্তা-চেতনা ও মননের উন্নয়ন না হওয়া পর্যন্ত দেশ কখনও পুরোপুরি উন্নত হয় না মন্তব্য করে সৈকত আরও বলেন, “উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে থাকবে বইদান বাক্স, কেউ চাইলে সেখানে বই রেখে যেতে কিংবা নিতে পারবে।” একারণে সবার কাছে বই দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সৈকত।
সৈকত আরও বলেন, “অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সমান্তরালে নৈতিক চিন্তা-চেতনারও উন্নয়ন প্রয়োজন। বই হলো চিন্তার উন্নয়ন বা বিকাশের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। বই যত সহজলভ্য হবে, এর বিকাশও তত দ্রুত হবে। কেউ যদি এখানে এসে এক পৃষ্ঠাও বই পড়েন তাহলেও কিন্তু তিনি উপকৃত হবেন। না পড়ে শুধু বই খুলে দেখলেও তিনি উপকৃত হবেন।”উন্মুক্ত লাইব্রেরির ভাবনা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চান বলেও জানান সৈকত।