এবার প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়া গেলেন বাংলাদেশী যুবক

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ১৪, ২০২২, ০৫:৩০ এএম

এবার প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়া গেলেন বাংলাদেশী যুবক

এবার এক নারীর প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ায় গেলেন বাংলাদেশি যুবক। সেখানে গিয়ে প্রেমিকা সিতি মারিয়াকে বিয়েও করেছেন ওই যুবক। তাঁর বাড়ি জামালপুরে। নাম মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান অর্ক। তিনি জামালপুরের বানিয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমানের ছেলে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে তরুণ-তরুণীদের প্রেমের টানে ছুটে আসবার খবর হরহামেশাই শোনা যায়। এবার শোনা গেল এর উল্টোটা। জানা যায়, ২৫ বছর বয়সী অর্ক একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষে একটি বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানে চিফ অপারেটিং অফিসার পদে চাকরি করছেন।

Indo Jamalpur

অর্ক গণমাধ্যমকে জানান, ২০১৯ সালে মুসলিমা ডটকম নামের একটি সাইটের মাধ্যমে সিতি মারিয়ার (২৩) সাথে তাঁর পরিচয় হয়। মারিয়া ইন্দোনেশিয়ার বগর জেলার সেলতুন সিটির জাবা প্রবিন্স এলাকার বাসিন্দা। লেখাপড়া শেষ করে মারিয়া সেখানকার তাসকিয়া গ্লোবাল ইসলামিক বিদ্যালয়ে কোরআন ও হাদিস বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে মারিয়া সবার বড়। মারিয়ার বাবা ওমর পেশায় একজন ব্যবসায়ী।

পরিচয় হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে তাঁদের নিয়মিত কথা হতো। এক পর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পরে নানা জটিলতা শেষে গত ১৮ অক্টোবর বিমানযোগে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমান অর্ক।

ইন্দোনেশিয়া থেকে অর্ক মোবাইল ফোনে স্থানীয় একটি গণমাধ্যমকে বলেন, অনেক আগেই ইন্দোনেশিয়াতে আসার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পর অনেকদিন ভিসা বন্ধ ছিল। এখানে এসে আরও অনেক কাগজপত্র ঠিক করতে হয়েছে। এজন্য বিয়ে করতে দেরি হয়েছে। গত ১০ নভেম্বরবিয়ে করেছি।

অর্ক আরও জানান, মারিয়াকে বাংলাদেশে নিয়ে যেতে এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অনেক কাগজপত্রের প্রয়োজন। এসব করতে আরও ছয় মাসের মতো সময় লাগবে। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন।

সিতি মারিয়া বলেছেন, আগে বাংলাদেশের ছেলেদের সম্পর্কে আমাদের খারাপ ধারণা ছিল। কিন্তু অর্ক আমাদের সেই ধারণে বদলে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত মিশুক ও সহজ সরল প্রকৃতির।

Link copied!