সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ০২:৫১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
সংবাদ সম্মেলনে নায়েবে আমির বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের জন্য জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন ছাড়া বিকল্প নেই। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী এই পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছে।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালু, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও দুর্নীতির বিচার এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
তিনি আরও বলেন, জনগণের ন্যায্য দাবি কার্যকর না হলে গণ-আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য জামায়াত ধারাবাহিক কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল, ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল।
তাহের দাবি করেন, রাজনৈতিক সংকট সমাধানে জুলাই জাতীয় সনদকে আইনগত ভিত্তি দিতে হবে। অন্যথায় জনগণের আত্মত্যাগ ও অর্জিত অভ্যুত্থান ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল একই দাবিতে অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামছে।
তাদের এই যুগপৎ আন্দোলনে গতকাল রোববার ঢাকা থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
আজ সোমবার জামায়াত এবং ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।
সরকার ও নির্বাচন কমিশন যখন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলছে, এমন এক প্রেক্ষাপটে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল যুগপৎ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে।
এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিএনপি। কারণ দলটি পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া তারা জুলাই সনদের বাস্তবায়ন চায় নির্বাচিত সংসদে।
আর জামায়াতসহ যুগপৎ আন্দোলনে নামা দলগুলোর নেতারা বলছেন, নির্বাচনের আগে সংস্কার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা না হলে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
সেজন্য তারা আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়েছেন।