যারা নিষিদ্ধ সংগঠন, গণহত্যার আসামী ও ফ্যাসিস্টদের প্রচার করার সুযোগ করে দিবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ৬, ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম

যারা নিষিদ্ধ সংগঠন, গণহত্যার আসামী ও ফ্যাসিস্টদের প্রচার করার সুযোগ করে দিবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন,"যারা মিডিয়ায় নিষিদ্ধ সংগঠন, গণহত্যার আসামী ও ফ্যাসিস্টদের প্রচার প্রচারণা করার সুযোগ করে দিবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে একথা জানান বৈষম্যবিরেধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা।

উপদেষ্টা নাহিদের লেখাটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হল, "আওয়ামী লীগের সব সময় দুইটা চরিত্র। একদিকে সন্ত্রাসী, ফ্যাসিস্ট, নৃশংস বাহিনী দিয়ে হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন চালায় অন্যদিকে সুশীল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীদের দিয়ে ফ্যাসিবাদের বয়ান ও বৈধতা তৈরি করে।

এটিমের কুখ্যাত প্রোপাগান্ডিস্টরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নৃশংস খুনী নেতাদের জনপরিসরে হাজির করার পর সেটাকে এখন নরমালাইজ করতে বিভিন্ন মিডিয়া প্লাটফর্ম ও সাংবাদিকরা উদ্যোগ নিচ্ছে।

তারা এমনভাব করছে যেন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ এখন বিরোধী দল। বিরোধী মত হিসেবে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের বক্তব্য প্রচার করার চেষ্টা করছে।

তারা ভুলে গেছে বাংলাদেশে একটা ম্যাস কিলিং ঘটেছে জুলাই-অগাস্টে যেখানে ছাত্র, শিশু, নারী, শ্রমিকসহ অসংখ্য মানুষের নির্মম মৃত্যু ঘটেছে এবং অসংখ্য জীবন পঙ্গু হয়ে গেছে।

সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এখনো গণহত্যা ও পঙ্গুত্বের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ এখন বিচারের কাঠগড়ায়। অথচ আওয়ামী লীগকে নানা কৌশলে নানা আন্দোলনে সমাজে হাজির করতে সচেষ্ট বিভিন্ন শক্তি।

কিন্তু এগুলাতে লাভ হবে না। রক্তের উপর দিয়ে আওয়ামী লীগের পতন ঘটেছে। আওয়ামী সিম্পেথাইজাররা এটা যত দ্রুত মেনে নিবে এবং জনগণের পক্ষে কাজ করবে তত সবার জন্য মঙ্গল। আমরা জানি এ লড়াই চলমান। এবং আমরা সব সময়ের জন্য প্রস্তুত। 
যারা মিডিয়ায় নিষিদ্ধ সংগঠন, গণহত্যার আসামী ও ফ্যাসিস্টদের প্রচার প্রচারণা করার সুযোগ করে দিবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

উল্লেখ্য, একসময় দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে দীর্ঘদিন কর্মরত, বর্তমানে ইউটিউবে জনপ্রিয় সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দীন নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটি ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এর সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে লাইভে আনতে চেয়েছিলেন তার টকশোতে। পরবর্তীতে সমালোচনার মুখে আইনি পরামর্শে বুধবার ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ‍‍`নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি` স্থগিত করেন তিনি।

 

 

 

Link copied!