ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ বন্ধ করে ব্ল্যাক আউট কর্মসূচী চাকরিচ্যুতদের

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ০১:০৬ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ বন্ধ করে ব্ল্যাক আউট কর্মসূচী  চাকরিচ্যুতদের

প্রতীকী ছবি

বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েকটি জেলার ১০ কর্মকর্তাকে  স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরই প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার বিদ্যুৎ সাময়িক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দাবী আদায় না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে না বলে নিশ্চিত করেন নাসিরনগর পল্লীবিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আমজাদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার পর থেকে  প্রতিবাদস্বরূপ পর্যায়ক্রমে জেলার সবকটি উপজেলার আওতাভুক্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ে প্রায় ৬ লাখ গ্রাহক। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে বিদ্যুৎ সরবারাহ ফের চালু হয়েছে।

এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বড়ইচারা গ্রামের বাসিন্দা মনসুর আলী বলেন, "বেলা ১১টা থেকে গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘসময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ফলে রেফ্রিজারেটরে রাখা খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।"

আখাউড়া উপজেলা সদরের কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা রুবেল আহমেদ জানান, গ্রাহকদের জিম্মি করা দাবি আদায়ের কোনো মাধ্যম হতে পারে না। এমনিতেই পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠত জনজীবন। এ অবস্থায় আন্দোলনের নামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে গ্রাহকদের অমানবিক কষ্ট দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার দাবি জানান তিনি।

আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মাহ্যবস্থাপক মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, "কোনো প্রকার কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই ২০ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ হিসেবে আজ বেলা ১১টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গ্রাহক ভোগান্তির বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে। সেজন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেছি দ্রুত সময়ের মধ্যে চাকরিচ্যুতির আদেশ প্রত্যাহার করার জন্য। অন্যথায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ কর্মসূচি চলতে থাকবে।"

Link copied!