মার্চ ৯, ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম
কুমিল্লা সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলি করার এ ঘটনায় মহানগর ছাত্রলীগের এক নেতাকে অভিযুক্ত করা হলেও পুলিশ ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে তাহসীন বাহার ও নিজাম উদ্দিন কায়সারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত দুজন আহত হন।
গুলির এ ঘটনায় কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী আবু সুফিয়ান অন্তুকে (২৭) রাজাপাড়ায় তার বাসার সামনে থেকে আটক করা হয়।
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল তাকে আটক করে। তবে আটক অন্তুর মায়ের দাবি, সংঘর্ষের ঘটনায় তার ছেলে জড়িত নয়। অন্তু সেসময় বাড়িতে ছিল।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, ‘এখানে একটি সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন আহত হয়েছে বলে জেনেছি। ঘটনার পরই আমরা সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছি।’
অন্তুকে কেন বা কোন অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘আহতরা কুমিল্লা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে শনাক্তের চেষ্টা করছি।’
শনিবার সকালে কুমিল্লা শহরতলীর নেউরা মুন্সী এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
ছাত্রদল নেতা অন্তুকে আটকের প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হান্নান ভুঁইয়া জানান, ‘আমরা কিছুক্ষণ আগে ভোট দিয়ে আসছি। ভোট দেওয়ার আগে ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়েছে আমরা জানতে পারি নাই কারা করছে। অন্তুসহ আমরা নির্বাচনী কেন্দ্রের অনেক বাইরে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ পুলিশের গাড়ি এসে অন্তুকে তুলে নিয়ে গেল। তখন আমরা পুলিশকে বললাম কেন আটক করলেন? তারা সেই ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। পুলিশ জানিয়েছে তারা তদন্ত করে কিছু পেলে অন্তুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে আর সম্পৃক্ততা না পেলে তাকে ছেড়ে দেবে।’