বিচ্ছিন্ন সংঘাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে কুমিল্লা সিটির উপনির্বাচন ও ময়মনসিংহ সিটির নির্বাচন। এখন দুই সিটিতে চলছে ভোটগণনা। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোটে কুমিল্লা সিটি উপনির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন তাহসীন বাহার ও ময়মনসিংহ সিটিতে এগিয়ে রয়েছেন ইকরামুল হক টিটু।
কুমিল্লায় প্রাপ্ত ৯০ কেন্দ্রে তাহসীন বাহার (বাস) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৭৩২ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি) পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৬ ভোট। এখনও বাকি রয়েছে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের ফলাফল।
আর ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে মোট ১২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রাপ্ত ৫৪ কেন্দ্রে ইকরামুল হক টিটু (টেবিল ঘড়ি) পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৩৪২ ও সাদেকুল হক খান মিল্কি (হাতি) ১২ হাজার ৮০৪ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে বিকেল চারটায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ। আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল কুমিল্লা সিটির ১০৫ কেন্দ্রকে। তবে ভোটের শুরুটা শান্তিপূর্ণ হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছড়ায় উত্তাপ। মুন্সি এম আলী স্কুল কেন্দ্রে দুপক্ষের সংঘাতে গুলিবিদ্ধ হয় একজন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত হয় আরও ২ জন। এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ এনেছেন মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক ও তানিম। তবে এ অভিযোগ নাকচ করেছেন আরেক মেয়র প্রার্থী তাহসীন বাহার। কুমিল্লায় ইভিএমে ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৮ জন ভোটার।
এদিকে ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে সকাল থেকেই কেন্দ্রমুখী হন ভোটাররা। তবে লাইনে দাঁড়ানোর পর নারী ভোটারদের অনেককে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। আঙুলের ছাপ না মেলায় দেরি হয় ভোট দিতে। মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটুও অভিযোগ করেন ইভিএম নিয়ে। কঠোর নিরাপত্তায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই শেষ হয় ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
ময়মনসিংহ সিটিতে মেয়র পদে নির্বাচন করেন ৫ জন। ৩৩ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের নির্বাচনে অংশ নেন ১৪৯ জন। আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন ৬৯ জন।