ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ০৯:৫২ এএম
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির বলেন, ‘নির্বাচন শুধু জয়-পরাজয় নির্ধারণের প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি জনগণের ম্যান্ডেট নির্ধারণের মহড়া।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং তাদের কর্মীদের অবশ্যই নিজস্ব স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে এবং সমন্বিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শাসনক্ষমতা পরিচালনা এবং জনগণের সেবা করতে হবে।’
পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে এবারই প্রথম মুখ খুললেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মুনির বলেন, ‘নির্বাচন ও গণতন্ত্রের অর্থ হচ্ছে পাকিস্তানের জনগণের সেবা করা, তাদের ব্যবহার করা নয়। ২৫ কোটি জনসংখ্যার এ অগ্রসরমাণ দেশটিতে বিশৃঙ্খলা ও মেরুকরণের রাজনীতি মানায় না। এগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখতে দেশে সুস্থির নেতৃত্ব প্রয়োজন, যার নেতৃত্বের ছোঁয়ায় সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাপ্রধান আশা করেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে। নির্বাচনকে শান্তি ও সমৃদ্ধির আগমনী বার্তা হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোট গ্রহণ হয় বৃহস্পতিবার। কোনো দলের সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২৫০ আসনের ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পিএমএল–এন ৭১ আসনে, পিপিপি ৫৩ ও এমকিউএম ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।