মন্ত্রীদের ‘ভারত-বন্দনার’ সমালোচনা করে সুর চড়া করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘কথায় কথায় প্রায় সব মন্ত্রী ভারত বন্দনায় মত্ত হচ্ছেন।’
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র এই নেতা।
দেশ এখন ভারতের স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জনগণের ভোটাধিকার হরণ, গণতন্ত্র হত্যা ও বিনা ভোটে অবৈধ ক্ষমতার অমরত্ব লাভের অপচেষ্টায় প্রতিবেশী ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদের স্বীকারোক্তি দিয়ে জোর গলায় বক্তৃতা দিচ্ছেন।’
বিএনপির সিনিয়র নেতা বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন বা শক্তিতে নয়, ভারতের শক্তি ও সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতার সিংহাসনে টিকে আছে। আর এই টিকে থাকার জন্য যত দমন-পীড়ন, গুম-খুন, হত্যা, মামলা, হামলা, অবিচার ও অনাচার সব কিছু করছে সরাসরি ভারতের মদদে।’
রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদের অকপট স্বীকারাক্তি প্রমাণ করে জাতিসংঘ সনদের ২(৪) ধারা সরাসরি লঙ্ঘন করে ভারত আমাদের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার সব কিছুর ওপর সরাসরি নগ্ন হস্তক্ষেপ করে চলেছে। ২(৪) ধারায় বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সকল সদস্য-রাষ্ট্র আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কিংবা অন্য কোনো রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ, ভীতি প্রদর্শন থেকে এবং জাতিসংঘের উদ্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন কোনো উপায় গ্রহণ করা থেকে নিবৃত্ত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের কথায় স্পষ্ট যে ভারত এই নীতি লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। ভারত বাংলাদেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বাকশালী শাসনের পক্ষে সহযোগিতা করছে। আওয়ামী লীগ এখন একটি ভারতীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে, যা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বার্থ ও মর্যাদার পরিপন্থী।