ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ বা যুগপৎ আন্দোলনে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব।
কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এনসিপি যুগপৎ আন্দোলনে যাচ্ছে বলে একটি সংবাদমাধ্যমে আসা খবরকে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে তা নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি এখনো কোনো জোট বা যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। চার দাবিতে আট দলের যুগপৎ কর্মসূচির যে খবর হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর।” খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
ওই সংবাদমাধ্যমে শনিবারে আসা খবরে বলা হয়, চার দাবিতে জামায়েতে ইসলামী ও এনসিপিসহ আটটি দল যুগপৎ আন্দোলনে যাচ্ছে।
দাবিগুলো হল- জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা, নির্বাচনের জন্য সবার সমান সুযোগ তৈরি করা, ‘ফ্যাসিবাদের’ দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
এনসিপির রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আদীব বলেন, “জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের যে দাবি সেটি নিয়ে অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু পূর্ণ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিষয় এনসিপির কোনো অবস্থান নেই।
“বরং এনসিপি শুধুমাত্র উচ্চকক্ষে পিআর বিষয়ে একমত। এছাড়া সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসেবে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতের দাবির সাথে এনসিপির সমর্থন থাকবে।”
গণঅভ্যুত্থানের শীর্ষ নেতাদের সামনে রেখে গঠিত নতুন এই দলটি নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হলেও সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভরাডুবির পর দলের অনেক নেতাকর্মীর মনোবল ভেঙে গেছে, এমন আলোচনা আছে।
এছাড়া কয়েকজনের পদত্যাগের খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে। বাম ধারা থেকে আসা কয়েকজন নেতা এনসিপি ত্যাগ করতে পারে, এমন আলোচনাও আছে।
এসব বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, “ডাকসু নির্বাচনে কাঙ্খিত ফল না পেয়ে দলের সাময়িক হতাশা রয়েছে। তবে কারও দল ত্যাগের শঙ্কা নেই। দলের পুনর্গঠন ও রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করার বিষয়ে এখন কাজ চলেছে।”
এনসিপির দপ্তর সম্পাদক সালেহউদ্দিন সিফাত বলেন, দলের উঠান বৈঠক কার্যক্রম নিয়ে শীর্ষ নেতারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ দল ত্যাগ করতে চাচ্ছেন, এমন খবর তার কাছে নেই।