জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশের অনুমতিকে ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি লজ্জাজনক কলঙ্ক’ বলে আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
শনিবার (১৯ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের (একাংশ) সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ এ তীব্র প্রতিবাদ জানান।
তারা অভিযোগ করেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে জামায়াতকে এ অনুমতি দিয়েছে, তা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অশুভ দৃষ্টান্ত।
বিবৃতিতে বলা হয়, “সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রতীক। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এই মাটিতেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসর—জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র সংঘ (বর্তমানে ছাত্র শিবির), রাজাকার, নেজামে ইসলাম, আলবদর ও আলশামস আত্মসমর্পণ করেছিল। অথচ এখন সেই গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের দলকে এই পবিত্র স্থানে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।”
তারা আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাদের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বীর শহীদদের স্মারক ভাস্কর্য ও মুক্তিযুদ্ধের চিহ্ন ভাঙচুরের ঘটনায় সরকারের নীরবতা সেই প্রমাণ বহন করে।
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে এবং মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধপন্থিদের ‘পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে একধরনের রাজনৈতিক অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে, যা দেশের স্বাধীনতার আদর্শ ও ইতিহাসের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণের অংশ বলেও উল্লেখ করেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা।