সরকার পতনের পর পরিচয় গোপন করে ভারতে যাচ্ছেন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ২২, ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম

সরকার পতনের পর পরিচয় গোপন করে ভারতে যাচ্ছেন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা

প্রতীকী ছবি

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়া সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অনেক ‘রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন।

বুধবার (২১ আগস্ট) প্রকাশ হওয়া তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, “আশ্রয় নেওয়া প্রভাবশালীরা তাদের পরিচয় গোপন করে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন। এর মধ্যে অনেকেই সফল হলেও গ্রেপ্তারও হচ্ছেন কেউ কেউ।”

শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার সরকারের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে সারা দেশে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ফলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তাদের দেশ ছাড়ার অনুমতি না থাকার কারণে প্রভাবশালীরা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের পারাপার করতে দুই দেশে একাধিক চক্র তৈরি হয়েছে।”

পারাপারের খরচ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফোনে কলকাতার একটি চক্রের কাছে মেহেরপুর থেকে এক এমপি তার স্ত্রী ও ৪ সন্তানকে নিয়ে ভারতে ‘নিরাপদ আশ্রয়’ চান। ৫ মিনিটের ফোনালাপে ওই এমপিকে সপরিবারে ভারত যেতে মাথাপিছু ১ লাখ রূপি দিতে হবে। পাশাপাশি বিএসএফ ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের নজর এড়িয়ে ‘নিরাপদ আশ্রয়ে’ থাকতে মাসিক ১০ লাখ রূপি! খরচ হবে বলে জানানো হয়। দর কষাকষির পর ওই এমািপর পরিবারকে সীমান্ত পার করতে মাথাপিছু ৭০ হাজার টাকায় চক্রটি রাজি হয়। আর আশ্রয়ের জন্য মাসিক ৫ লাখ টাকা দফারফা হয়। এরপরই গত সোমবার রাতে মেহেরপুর সদর থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছান ওই এমপি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আর্থিক সঙ্গতি, সামাজিক পরিচিতি উপলব্ধি করে টাকা লেনদেন হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।

বিজিবির উপ-মহাপরিচালক (যোগাযোগ) কর্নেল শফিউল আলম পারভেজ জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে। বাংলাদেশে অভিযুক্তরা ও দেশে যাতে কোনওভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় না পায়। এর জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানানো হবে। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে যারা বেআইনি ও অন্যায় কাজ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!