সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম
File Photo
সরকারি দল হওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হলে নির্বাচনে অংশ নিতে এত অজুহাত কেন—এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে ঠিক করবে কারা সরকারে যাবে আর কারা বিরোধী দলে থাকবে।
শনিবার রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে সামাজিক সংগঠন অর্পণ আলোক সংঘ আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তার তৃতীয় সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা করেন বীথিকা বিনতে হোসাইন।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে জামায়াতে ইসলামী নেতাদের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আজ শিরোনাম দেখলাম—কোথাও বলা হয়েছে জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করবে, বিএনপি যাবে বিরোধী দলে। বিএনপি বিরোধী দলে যাবে কি না, তা জনগণ ঠিক করবে। যারা জনগণের ভোটে বিশ্বাস করে না, তারাই এসব কথা বলে।” গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের এক সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী নেতারা দাবি করেছিলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তারা সরকার গঠন করবে এবং বিএনপি বিরোধী দলে যাবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্রে সরকার ও বিরোধী দল দুটোই জনগণের অংশ, শত্রু নয়। কিন্তু সরকার সব সময় চায় বিরোধী দল যেন মাঠে না থাকে। তিনি আরও বলেন, একই সময়ে কেউ সরকারি দল ও বিরোধী দল হতে পারে না। জনগণের সঙ্গে দ্বিমুখী আচরণ করে কোনো দল বা সংগঠন টিকে থাকতে পারে না।
সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জনগণ ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত দেবে। তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে দাবিদাওয়াগুলো উল্লেখ করে নির্বাচনে আসতে হবে। জনগণ সমর্থন দিলে তখনই তা বাস্তবায়ন হবে, একতরফা ঘোষণায় নয়।
এছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়াই উত্তম। সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আদালতের রায় মানা না হলে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে এবং আদালতের রায়ের বাইরে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক সমাধান টেকসই হয় না।