গণপরিবহণে অফিস গমন করে অনেক সময়ই বিশ্বের বিভিন্ন মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাদের খবরের শিরোনাম হতে দেখা গেছে। এমন ঘটানার সাক্ষী হল এবার ঢাকাবাসী।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাব সংলগ্ন বাংলাদেশ সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশন থেকে এমআরটি লাইন-৬ এর চলমান একটি মেট্রো ট্রেনে চড়ে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে পৌঁছেন। পোঁছাতে তাঁর সময় লেগেছে ১৬ মিনিট।
মেট্রো রেলে সচিবালয় থেকে আগারগাঁও গিয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বললেন, "আগে সচিবালয় থেকে আগারগাঁওয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করলেই মন খারাপ হয়ে হয়ে যেতো। এখন সেটা আনন্দের বিষয়।"
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আগারগাঁও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে তিনি মেট্রোরেলে চড়ে যান।
মেট্রোরেল থেকে আগারগাঁও স্টেশনে নেমে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, "মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আগারগাঁও চলে আসলাম। আগে সচিবালয় থেকে আগারগাঁওয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করলেই মন খারাপ হয়ে হয়ে যেতো। এখন সেটা আনন্দের বিষয়।
"মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা গড়ে তুলার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন, দিন বদলের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। আজকে বাংলাদেশ বদলে গেছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে," তিনি যোগ করেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "আগে মতিঝিল থেকে মিরপুর পর্যন্ত যাতায়তে যাত্রীর নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে, এখন এই রোডে যানযট যেটা নিত্যদিনের ছিলো সেটা কিন্তু নাই। যাত্রীদের ভোগান্তি নাই। মাত্র কয়েক মিনিটেই চলে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, "আমাদের মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা কর্মচারিরা এখন মেট্রো রেলে যাতায়াত করে। আগে যেখানে দুই ঘন্টা লাগতো এখন মাত্র ১০/১২ মিনিটে আগারগাঁও চলে যাচ্ছে, এখন দেড় ঘন্টার মত সময় বেঁচে গেছে। দেড় ঘন্টা যানজটে বসে থেকে একটা ক্লান্তি চলে আসতো, এখন সেই ক্লান্তিটা নাই।"
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, "এখনই যেমন মিরপুর রোডে গণপরিবহনে যাত্রী নেই, চাপ নেই। আর এমআরটি লাইনের বাকি গুলো চালু হয়ে গেলে দেখবেন ঢাকার পরিবেশটাই সুন্দর হয়ে গেছে।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-শাহবাগ- কারওয়ানবাজার-ফার্মগেট-বিজয় স্মরণী স্টেশনে প্রায় এক মিনিট করে যাত্রী নামা উঠার সময় ছিল। এসময় প্রতিমন্ত্রী সাধারণ যাত্রী ও সাংবাদিকদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
সেখান থেকেই তাঁর মন্ত্রনালয়ের অধীন আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিস পরিদর্শনে যান। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সেখানে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন।