ডিসেম্বর ১, ২০২৩, ০৬:৪৬ এএম
টাইগারদের হারাতে ইতিহাস গড়তে হবে কিউইদের। ছবি:সংগৃহীত
দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার। তবে সেটা হতে দেননি মুশফিক-মিরাজরা। এই দুই ব্যাটারই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে তিনশ পেরিয়ে থেমেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ৩৩২ রান।
শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে এসে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি অভিষিক্ত শাহদাত দিপু। দলীয় ২৪৮ রানে ১৯ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তবে এরই মাঝে ফিফটি পূরণ করেন মুশফিক।
তবে লাঞ্চে যাওয়ার আগে আরও দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১১৬ বলে ৬৭ রান করে মুশফিক ও ২৭ বলে ১০ রান করে আউট হন নুরুল হাসান সোহান। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান সংগ্রহ করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফিরেই জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১১ বলে ৪ রান করে নাইম হাসান ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান তাইজুল ইসলাম। তবে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ৭৬ বলে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ।
শেষ ব্যাটার হিসেবে শরিফুল আউট হলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ফলে জয়ের জন্য ৩৩২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ডের সামনে।
উল্লেখ্য, ৩৩২ রান তাড়া করে এর আগে কখনো টেস্ট জেতেনি নিউজিল্যান্ড। ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩২৪ রান করে জেতে তারা, সেটিই এখনও তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া। বাংলাদেশকে ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে ৩ উইকেটে হারায় ৩১৭ রান করে, সেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।