বেটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ১৪, ২০২১, ১০:১০ পিএম
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন চলাকালে তা কার্যকরে পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ। সেলক্ষ্যে পুলিশের এ মহাপরিদর্শক সকল ইউনিট প্রধানকে বেশ কিছু নির্দেশনাও প্রদান করেছেন।
গতকাল বিকালে করোনার সংক্রমণের বিস্তার রোধ এবং পবিত্র রমজান উপলক্ষে সকল পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জগণকে ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে এসব নির্দেশনা প্রদান করেন।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার এআইজি মো. সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ভার্চুয়াল সভায় আইজিপি বলেন, সরকারি বিধি-নিষেধ চলাকালে বিনা প্রয়োজনে কেউ ঘরের বাইরে যাবেন না। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে পুলিশের 'মুভমেন্ট পাস' নিয়ে চলাচল করবেন। জরুরি কাজে ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
সেসময় ধৈর্য ধরে বুদ্ধিমত্তার সাথে সরকারি বিধিনিষেধ প্রতিপালনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন আইজিপি। তিনি বলেন, খাদ্যপণ্য, ঔষধ, উৎপাদন সামগ্রী ও অন্যান্য জরুরি সেবার যানবাহনের চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে হবে।
বোরো ধান কাটার জরুরি প্রয়োজনে কৃষিশ্রমিক পরিবহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকরা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত করতে পারবেন বলে সভায় জানান আইজিপি। এছাড়া তিনি বলেন, রমজানে মহাসড়কে কোন ধরনের চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, পবিত্র রমজান মাসে জুমা ও ওয়াক্তের নামাজের সময় মসজিদের ভিতরে বা বাইরে কোন জমায়েত এবং ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। রমজান উপলক্ষে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনসমূহের ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠীর পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম প্রতিহত করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। রমজান উপলক্ষে যাকাত, ফিতরা, খাদ্য সামগ্রী ইত্যাদি বিতরণের ক্ষেত্রে জনসমাগম পরিহার নিশ্চিত করতে হবে।
আইজিপি বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অনেক মানুষ ঢাকা ও অন্যান্য শহর ছেড়ে গ্রামে বাড়ি যেতে পারেন, সে সময় তাদের বাসা বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় রেল স্টেশন, লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বাড়তে পারে। জনশৃঙ্খলা রক্ষায় এসব স্থানে পুলিশি টহল বাড়াতে হবে।
রমজানে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন আইজিপি। এছাড়া রমজানে রাতের বেলায় উচ্চ শব্দে হর্ণ বাজানো এবং দ্রুতগতিতে চলাচলকারী গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি নির্দেশ প্রদান করেন।
