করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধের কারণে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও কমিউনিষ্ট পার্টির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের খুঁজতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
রাজধানী বেইজিংয়ে কয়েকজন বিক্ষোভকারীর বরাত দিয়ে,ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ ফোন করে তাদের অবস্থান জানতে চেয়েছে। তবে তাদের পরিচয় পুলিশ কি করে শনাক্ত করছে সেটি পরিষ্কার নয়।
একজন নারী রয়টার্সকে জানান, পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে তিনিও বেইজিংয়ের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তারা প্রত্যেকেই পুলিশের কাছ থেকে ফোনকল পেয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আরেকজন বলেন, তাদেরকে পুলিশ স্টেশনে হাজির হতে বলা হয়েছে এবং গত রোববার রাতে কী করেছেন সে সম্পর্কে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
পুলিশ রাস্তায় লোকজনকে থামিয়ে তাদের ফোনও চেক করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। মানুষজনের ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) আছে কিনা কিংবা চীনে বন্ধ থাকা টেলিগ্রাম বা টুইটারের মতো অ্যাপ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি উরুমছি শহরে একটি ভবনে আগুন লেগে ১০ জন নিহত হয়। বিক্ষোভকারীরা ভবনে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে না পারার জন্য কোভিড বিধিনিষেধকে দায়ী করছেন।
এরই প্রতিবাদে ও করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার দাবিতে সাংহাই নগরীতে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে অংশ নেয় কয়েক হাজার মানুষ। এই বিক্ষোভ পরে ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী বেইজিংসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে। বিক্ষোভে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জেনপিং ও কমিউনিস্ট পার্টির পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।
সমাজতান্ত্রিক দেশ চীনে সরকার ও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পদত্যাগের দাবিতে গণমানুষের এমন বিক্ষোভ বিরল ঘটনা। কারণ, দেশটির আইন অনুসারে, সরকার নিয়ে সরাসরি কোনো সমালোচনার ফল হতে পারে কঠোর শাস্তি।