দোনেৎস্কে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১০ জন নিহত

বিশ্ব ডেস্ক

ডিসেম্বর ৮, ২০২২, ০৪:৪৭ পিএম

দোনেৎস্কে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১০ জন নিহত

রাশিয়ার অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্কে ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত একটি শহরে ১০ জন নিহত হয়েছেন। হামলায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও এই হামলার বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি রাশিয়া।

বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে ওঠে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক। একটি বাজার, গ্যাস স্টেশন ও একাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, পশ্চিমাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছেন, পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। একইসঙ্গে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। 

এদিন দোনেৎস্কের বাখমুত শহরে ইউক্রেনীয় সেনাদের সঙ্গে রুশ বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। রাশিয়ার সেনাদের লক্ষ্য করে গোলা ও রকেট হামলার ভিডিও প্রকাশ করেছে কিয়েভ। এতে রুশ বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। সম্প্রতি অঞ্চলটিতে অভিযান জোরদার করেছে পুতিনের সেনারা। ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে বুধবার মস্কোতে রাশিয়ার মানবাধিকার পরিষদের এক বার্ষিক অধিবেশনে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় তিনি পশ্চিমাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা অনেক বেড়েছে।

পুতিন বলেন, পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে। যদিও রাশিয়া কখনোই প্রথমে এমন অস্ত্র ব্যবহার করবে না। তবে আমাদের ওপর আঘাত এলে তার পাল্টা জবাব দেয়া হবে। বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় আমাদের প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে আছে।

পুতিন আরও বলেন, ইউরোপের অনেক অঞ্চলেই পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়া এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলেও জানান তিনি। ওয়াশিংটনের মতো মস্কো অন্য দেশে নিজেদের অস্ত্র মোতায়েন করে না বলে জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে ইউক্রেনে চলমান সেনা অভিযানকে একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া উল্লেখ করে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ারও ইঙ্গিত দেন তিনি।

অন্যদিকে বুধবার পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, শীত মৌসুমে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ রাখতে চায় রাশিয়া। এ সময় শক্তি বাড়িয়ে পরবর্তীতে আবার নতুন করে আক্রমণের পরিকল্পনা করছে ক্রেমলিন। চলমান যুদ্ধে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো কিয়েভকে সহায়তা করে যাবে বলেও জানান তিনি।

এই পরিস্থিতিতেই রাশিয়ার ২০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এক বিবৃতিতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লাইয়েন। এ নিয়ে নয়বারের মতো রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করল ইইউ।

সূত্র: রয়টার্স।

Link copied!