তামিম ইকবালের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ম্লান লেন্ডল সিমন্স। সিমনের ১১৬ রানে ভর করে সিলেট সানরাইজার্স করেছিল ১৭৫ রান। তামিম ৬৪ বলে ১১১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ঢাকা ৯ উইকেটে জিতল। শাহজাদ ৫৩ রানে আউট হন। ঢাকা ৫ ম্যাচে ৩টিতে হেরেছে তবে জিতেছে ২টিতে।
ঢাকা ১৭ ওভারে জয় নিশ্চিত করে। ১৭৬ রানের টার্গেট ছিল (১৭৭/১)।
বিপিএলের মোট ৮ আসরে ২৩টি সেঞ্চুরি হয়েছে, যার সবশেষটি করেছেন তামিম। ১৭টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল তামিমের ইনিংসে।
বাংলাদেশিদের মধ্যে একটি করে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন শাহরিয়ার নাফিস, মোহাম্মদ আশরাফুল,সাব্বির রহমান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তামিমের সেখানে ২টি সেঞ্চুরি।
বড় লক্ষ্য পেয়েও বেশ সাবলীল ব্যাট করতে থাকেন ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ শাহজাদ। তাদের জুটিতে ৫৩ বলে দ্রুত শতক পার করে ঢাকা। যদিও এই জুটিকে জয়ের বন্দরে থামিয়ে দেন আলাউদ্দিন বাবু।
৩৯ বলে ৫৩ রান করে শাহজাদ ফিরলে ভাঙে ১৭৩ রানের জুটি। যদিও তার আগে দারুণ এক রেকর্ড গড়ে ফেলেছে তামিম-শাহজাদের জুটি।বিপিএলের সবকয়টি আসর মিলালে এই জুটির রেকর্ড হবে পঞ্চম।
তবে যদি শুধু মাত্র ওপেনিং জুটির কথা বলা হয় তবে এই জুটি দ্বিতীয় সেরার অবস্থানে জায়গা করে নিবে। এর আগে বিপিএলে প্রথম উইকেটের জুটিতে ১৯৭ রান তুলেছিল রাজশাহী, প্রতিপক্ষ ছিল খুলনা-২০১৩ সালে।৬১ বলে সেঞ্চুরির পরও তামিম যেন কোথাও থামতে চাইছেন না।
১৬ চার ও তিন ছয়ে শতক পার করে আরও একটি করে চার ও ছয় হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি। ততক্ষণে ৬৪ বলে ১৭ চার ও চার ছক্কায় ১১১ রানে অপরাজিত দেশসেরা এই ওপেনার। স্বীকৃত ক্রিকেটে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি।