ব্যর্থতা থাকলে খুঁজে বের করে দিন, আমি সংশোধন করে নেব

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০৩:১৫ এএম

ব্যর্থতা থাকলে খুঁজে বের করে দিন, আমি সংশোধন করে নেব

বর্তমান সরকারের কোনো ধরনের ব্যর্থতা থাকলে, বিরোধী দলকে তা খুঁজে বের করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব অধিবেশন শুরু হলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্ন উত্তরে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আহবান জানান।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে গত ১৪ বছরে দেশের ব্যাপক পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “যদি সততা নিয়ে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কল্যাণে কি কাজ করতে হবে, সেটা বিবেচনা করে কাজ করা যায়, তাহলে ব্যর্থ হবো কেন? কোথায় সাফল্য, কোথায় ব্যর্থতা সেটা জনগণই করবে। আর সংসদ সদস্যের যখন এতই আগ্রহ, তাহলে আমার ব্যর্থতাগুলো আপনিই খুঁজে বের করে দিন, আমি সংশোধন করে নেব।”

জাতির পিতার আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় নিয়ে দেশে ফিরছিলাম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চারণের বেশে সারা বাংলাদেশ ঘুরেছি। বাংলাদেশকে চিনেছি, জেনেছি। সরকার গঠনের পর তৃণমূলের মানুষ যাতে ভালো থাকে সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়েই কাজ করেছি। তার সুফল এখন জনগণ পাচ্ছে।”

আওয়ামী লীগের সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর লিখিত প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, “১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের উত্থাপিত প্রস্তাবটি প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র-বিষয়ক কমিটিতে রয়েছে। প্রস্তাবটি যাতে বিবেচিত হয় সে জন্য বাংলাদেশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধে ৩০ লক্ষাধিক মানুষের আত্মত্যাগ ও লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাৎসি নৃশংসতাসহ ইতিহাসের সব কালো অধ্যায়কে হার মানিয়েছে।”

 

তিনি বলেন,“এ প্রস্তাবের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রকেই নয় বরং স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ বিশেষত মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের ও বীরঙ্গনা মা-বোনদের সম্মানিত করা হয়েছে।”

সংসদ নেতা আরও বলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে এত বেশি সংখ্যক মানুষকে হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের চিত্র ইতিহাসে আর একটিও পাওয়া যাবে না। এই ইতিহাসকে স্মরণ রেখে বিশ্বের যে কোনও প্রাপ্তে সংগঠিত গণহত্যার বিরুদ্ধে আমরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি।”

Link copied!