বিজিএমইএ স্হানীয়দের মধ্যে ১৬০ জন ফ্যাশন ডিজাইনার কে উচ্চমূল্যের প্রশিক্ষণ দিবে

বিজনিস ডেস্ক, দি রিপোর্ট ডট লাইভ

মে ১৭, ২০২৩, ০২:০৫ এএম

বিজিএমইএ স্হানীয়দের মধ্যে ১৬০ জন ফ্যাশন ডিজাইনার কে উচ্চমূল্যের প্রশিক্ষণ দিবে

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) স্হানীয়ভাবে কর্মরত ডিজাইনারদের মধ্য থেকে ১৬০ জন পেশাজীবী বৈশ্বিক হাই-এন্ড ফ্যাশন মেকার তৈরী করবে।

প্রশিক্ষণ সেশনগুলো পরিচালনা করবেন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার, শিকাগো ভিত্তিক ফ্যাশন ব্র্যান্ড নেভাল এর প্রতিষ্ঠাতা, আনাদিল জনসন।

এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার বিজিএমইএ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্থানীয় ফ্যাশন ডিজাইনারদের উচ্চমূল্যের পোশাকে প্রশিক্ষণ দিতে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

বিজিএমইএ এর পরিচালক নীলা হোসনা আরা এবং মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, উপসচিব এবং প্রকল্প পরিচালক, রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও বৈচিত্র্যকরণ প্রকল্প (টায়ার-২), ডব্লিউটিও শাখা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

এ প্রশিক্ষণ উদ্যোগটি ইআইএফ এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন অ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (টায়ার-২) এর অধীনে হাই এন্ড ফ্যাশন প্রজেক্ট (আন্তর্জাতিক রপ্তানি বাজারের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে সংযুক্তকরণ) এর একটি অংশ।

সমঝোতা অনুযায়ী ডিজাইনার, প্যাটার্ন মার্কার, মার্চেন্ডাইজার, দেশীয় টেক্সটাইল সামগ্রী ব্যবহারকারী তাঁতি এবং ফ্যাশন ও টেক্সটাইল শিক্ষার্থীসহ বাংলাদেশী টেক্সটাইল পেশাজীবীদের স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে পোশাকে সংযুক্ত করে উচ্চমানের ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরি ও ডিজাইনের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

এই পেশাজীবী ও ডিজাইনাররা দেশীয় কাপড় এবং উপকরণ ব্যবহার করে উচ্চ মূল্যের ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরিতে কাজ করবে। 

প্রশিক্ষণটি বিজিএমইএ এর সেন্টার অব ইনোভেশন, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (সিআইইওএসএইচ) এর অধীনে পরিচালিত হবে, যেখানে মোট ১৬০ জন পেশাজীবী বৈশ্বিক হাই-এন্ড ফ্যাশন স্পেস, কালেকশন ডেভলপমেন্ট, সাসটেইনেবিলিটি ইস্যু প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে সুযোগগুলো রয়েছে, সেগুলো বিষয়ে নিবিড় প্রশিক্ষণ লাভ করবেন। 

বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডেভিড অস্টিন, আঞ্চলিক পোর্টফোলিও ম্যানেজার, ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস এবং রাফায়েল নিকোল ড্যানিয়েল কুইন্টার্ড, পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট অফিসার, ইআইএফ এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারিয়েট, ডব্লিউটিও, উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল বাংলাদেশী ঐতিহ্যকে উন্নতমানের ফ্যাশন পণ্যে রূপান্তরিত করতে এবং আন্তর্জাতিকভাবে এই পণ্যগুলোর জন্য একটি বাজার তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। 

বাংলাদেশের সমৃদ্ধময় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ফ্যাশনের সঙ্গে যুক্ত করে পোশাক রপ্তানির সুযোগ অন্বেষণ করাও এই প্রকল্পের লক্ষ্য।

এটি জামদানি, খাদি, সিল্ক এবং মনিপুরির মতো ঐতিহ্যবাহী টেক্সটাইল এবং ফেব্রিক থেকে তৈরি ফ্যাশনেবল পোশাকের মাধ্যমে বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও বস্ত্রশিল্পের ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ তৈরি করে দিবে।

প্রকল্পটি স্থানীয় তাঁতিদের সক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করবে, যাতে করে তারা দেশীয় কারুশিল্প ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে উচ্চ-মূল্যের পোশাক ডিজাইন করতে পারে। এইভাবে এটি দেশীয় শিল্পকে বাঁচানোর পাশাপাশি বাংলাদেশী তাঁতিদের জন্য কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মুক্ত করবে। 

এছাড়াও, এটি পোশাকখাতে পণ্য বৈচিত্র্য আনয়ন, উচ্চতর মূল্য সংযোজন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করার রূপকল্প বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা করবে।

Link copied!