দেশে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিায় শুরু করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। তবে, জনগণ আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জেগে উঠে দানবীয় স্বৈরাচারী কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “বিজয়ের ৫০ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এখনো পর্যন্ত পাইনি। আমরা আশা করছি জনগণ আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জেগে উঠবে এবং দানবীয় স্বৈরাচারী কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার জনগণের পার্লামেন্ট এবং একটা মুক্ত রাষ্ট্র সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। এইদিন আমাদের জাতির মেধাবী বুদ্ধিজীবী চিকিৎসক শিক্ষক সাংবাদিক প্রকৌশলীসহ অসংখ্য মেধাবী বুদ্ধিজীবীদের পাক হানাদার বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধকালীন সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে। জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে তারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে।”
তিনি বলেন, “দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কয়েক বছর ধরে মিথ্যা সাজানো মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন। বারবার বলেছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য। কিন্তু এই গণবিরোধী-স্বাধীনতাবিরোধী সরকার কেবল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুধু নয় কাউকেই তারা এখানে রাজনীতি করতে দিতে চায় না। এদেশে তারা বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একদিকে যেমন তারা বন্দি করে রেখেছেন চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছেন না অন্যদিকে সমস্ত দেশপ্রেমিক মানুষের উপর তারা অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।”