কয়েকদশক ধরে ভারতীয় সিনেমার সংগীত জগতে রাজত্ব করেছেন লেজেন্ডারি সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ি। আজও তাঁর গানের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সকলের পছন্দের বাপ্পিদা। বলিউডের রক ও ডিস্কো মিউজিকের প্রবর্তক তিনিই।
আরও পড়ুন: যে রোগে মারা গেলেন বাপ্পি লাহিড়ি, রোগটির উপসর্গ কী?
বাপ্পি লাহিড়ির প্রথম ভালোবাসা গান হলেও তাঁর অন্যতম প্রেম সোনার গয়না। গয়নার প্রতি তাঁর ভালোবাসা নজরকাড়া।
সংগীতের সঙ্গে বাপ্পির প্রেম এক্কেবারে ছোটবেলা থেকে। মাত্র তিন বছর বয়সে তবলা বাজানো শেখা শুরু করেন তিনি। ১৭ বছর বয়সে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ করেন এই লেজেন্ডারি মিউজিক কম্পোজার। তাঁর অনুপ্রেরণা ছিলেন শচীন দেব বর্মন।
আরও পড়ুন: সঙ্গীতশিল্পী সুরকার বাপ্পি লাহিড়িও চলে গেলেন
প্রথম দেখাতেই আজীবন দর্শক শ্রেতাদের মনে গেঁথে থাকে বাপ্পি লাহিড়ী।জাদুকরী সুরের মুর্ছনার পাশাপাশি স্বর্ণের বাহারী অলঙ্কারের ব্যবহার তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে রেখেছে। সোনার গয়না পরতে ভালোবাসতেন বাপ্পি লাহিড়ি। তাঁর জুয়েলারি কালেকশন যেকোনও গয়নাপ্রেমীর কাছে ঈর্ষণীয়। তবে কেন এতো গয়না পরতে ভালোবাসেন তিনি?
একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর গয়নার প্রতি ভালোবাসার কারণ। হলিউডের মিউজিশিয়ান এলভিস প্রেসলির দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত।
তিনি বলতেন, 'এলভিস প্রেসলি সোনার চেন পরতেন। আমি সেটা খুবই পছন্দ করতাম। সেইসময় আমি ভাবতাম, যখন আমি প্রতিষ্ঠিত হব তখন আমি নিজের একটা আলাদা ইমেজ তৈরি করব। এরপর যখন আমি সফল হই। সোনার কেনার আর্থিক ক্ষমতা অর্জন করি। তখন আমি একের পর এক গয়না কিনি। সোনা আমার জন্য খুবই লাকি।'
তবে প্রথম সোনার চেন উপহার দিয়েছিলেন মা, এর পর স্ত্রী তাকে গণেশের লকেট দেওয়া এক চেন উপহার দেন। তিনি মনে করেন, সোনা তার জন্য বেশ লাকি। আর সে কারণেই সোনা পরে থাকার সিদ্ধান্ত তার।