বাসের অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার শর্তে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণকারী সরকারি কমিটি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি আজ সোমবার (২৯ মার্চ) এক জরুরি বৈঠকে এই প্রস্তাব দিয়েছে।
বিআরটিএ এর পরিচালক (প্রকৌশল) শিতাংশু শেখর বিশ্বাস ভাড়া সংক্রান্ত এই প্রস্তাবের কথা নিশ্চিত করেন। বিআরটিএ এর প্রস্তাব এখন অনুমোদনের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আশা করছি আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই ভাড়ার ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত আসবে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
করোনাভারাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই সরকার আজ গণপরিবহনে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দিয়েছে। সেই সঙ্গে যেসব এলাকায় বেশি সংক্রমণ ধরা পড়ছে সেখানে স্থানীয় প্রশাসনকে আংশিক লকডাউন করার নির্দেশনার কথাও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত ১৮ দফা নির্দেশনা সম্বলিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণক্ষমতার অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। সেই সঙ্গে, সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে, প্রয়োজনে বন্ধ করতে হবে।
সূত্রগুলো জানায় এই প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারেই আজ জরুরি বৈঠক ডাকে বিআরটিএ। এতে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন নেতারা।বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, বাসের অর্ধেক আসন খালি রাখতে ভর্তুকি অথবা আগের মতো ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব তারা দিয়েছেন। এখন মন্ত্রণালয় থেকে ভাড়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আসার পর আসন খালি রেখে বাস চালানো হবে।
এর আগে গত বছরের জুন মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সীমিত রাখতে দুই মাস বন্ধ থাকার পর অর্ধেক যাত্রী বহনের শর্তে ৬০ ভাগ ভাড়া বাড়িয়েছিল সরকার। পরে সেপ্টেম্বরে আসন খালি রাখার শর্ত তুলে দিয়ে পুরনো ভাড়ায় ফিরে যাওয়া হয়।