করোনার উৎপত্তিস্থলের সন্ধানে গিয়ে চীনের উহান শহর সফর শেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, ল্যাব থেকে নয়, বরং অন্য কোনও প্রাণীর দেহ থেকে মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। আর তার প্রভাবেই বিশ্বজুড়ে এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক অনুমান, সম্ভবত বাদুড় থেকেই ছড়িয়েছে এ বৈশ্বিক মহামারী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৭ জন বিজ্ঞানীর ওই প্রতিনিধি দলের সাথে তদন্তে যোগ দিয়েছিলেন ১৭ জন চীনা বিশেষজ্ঞও। তারা গত দু'সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন হাসপাতাল, সামুদ্রিক মৎস্য বাজার এবং উহানের গবেষণাগার ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব প্রদানকারী বিজ্ঞানী পিটার বেন এমবারেক জানান, ‘যেভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে, তাতে চিনের উহান ল্যাবের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কোনও যোগাযোগ নেই। সম্ভবত অন্য প্রাণী থেকে এই ভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে। তাঁর মতে, ডিসেম্বর ২০১৯-এর আগে চিনের উহানে করোনার কোনও সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
সংবাদ বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ বিজ্ঞানী আরও বলেন, ‘মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের চারটি সম্ভাব্য দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে। তার মধ্যে দুটি বিষয় চিহ্নিত করেছে বিশেষজ্ঞ দল। যা সম্ভাব্য কারণ হতে পারে। সেগুলির মধ্যে আবার একটি হল মধ্যবর্তী কোনও ধারক প্রজাতির (ইন্টারমেডিয়ারি হোস্ট স্পেসিস)।’
‘তিনি জানান, বাদুড় নাকি অন্য কোন প্রাণীর মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল, তা খুঁজে বের করা চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত মধ্যবর্তী কোনও ধারক প্রজাতিকে চিহ্নিত করা যায়নি। উহান বাজারের কয়েকটি প্রাণীর নমুনা চিহ্নিত করা হযেছে। যেগুলির শরীরে করোনা থাকতে পারে। পাশাপাশি চিনের বিভিন্ন অংশ বা বিভিন্ন ফার্মের কয়েকটি প্রাণীর নমুনাও চিহ্নিত করা হয়েছে। ’
এছাড়া উহানের গবেষণাগার থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে অভিযোগ তুলেছিলেন, সেই সম্ভাবনাও খুব কম বলে জানিয়েছে ওই বিশেষজ্ঞ দল।