সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তের হার ও মৃত্যুর পরিমাণ কমেছে। এই সময়ে সারাদেশে ৭ হাজার ২৪৮ জনের শরীরের কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়, যা মোট নমুনা পরীক্ষার ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৫৩৫, যা মোট নমুনা পরীক্ষার ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। এছাড়া একই সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন ১৭২ জন। আগের দিন করোনার সংক্রমণ নিয়ে ১৯৮ জনের মৃত্যু হয়।
বুধবার (১৮ আগস্ট) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৭২১টি ল্যাবে করোনা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই সময়ে এসব ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৪২ হাজার ১১১টি। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৪১ হাজার ১৪টি। গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষা মিলিয়ে এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৮৫ লাখ ২১ হাজার ৮২৮টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার ৭ হাজার ২৪৮টিতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট সংক্রমণ দাঁড়াল ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৪৪টিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।
একই সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ১১২ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৮ জনে। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ১১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে যে ১৭২ জন মারা গেছেন, এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যু দাঁড়াল ২৪ হাজার ৭১৯ জনে। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭২ শতাংশ। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৯৪ জন, নারী ৭৮ জন। তাদের মধ্যে বাসায় তিন জন ও ১৬৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত ১৭২ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬২ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছর, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩০ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছর। এছাড়া ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী সাত জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ১০ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী চার জন, ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী তিন জন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী দুই জন। এদিন ১০০ বছরের বেশি বয়সী এবং ১০ বছরের নিচে কেউ মারা যায়নি।
মৃত এই ১৭২ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৭ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের ও তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৬ জন খুলনা বিভাগের। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের আট জন, বরিশাল বিভাগের পাঁচ জন, সিলেট বিভাগের ১৫ জন, রংপুর বিভাগের চার জন এবং ময়মনসিংহের ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।