করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের দেওয়া ১১ দফা বিধিনিষেধ কার্যকর হবে আগামীকাল থেকেই। এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে সরকার। এইস বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের জেল-জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার রাজধানীর মহাখালী বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনস প্রাঙ্গনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অ্যাম্বুলেন্স, কম্পিউটার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ওমিক্রন এর প্রভাবে বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলাদেশেও এই সংক্রমণের হার বেড়েছে। যত সংক্রমণ বাড়বে তত হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে। এটি নিয়ন্ত্রণে সরকার ১১ দফার বিধিনিষেধ দিয়েছে। যে বিধিনিষেধ না মানলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল জরিমানা করা হবে।”
তিনি আরো বলেন, “করোনার সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। ঘরের বাইরে মাস্ক পরিধান করতে হবে। যারা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করবে না তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
জারিকৃত ১১ দফা:
১. শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে।
২. অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
৩. রেস্তোরাঁয় বসে খেতে ও আবাসিক হোটেলে থাকতে অবশ্যই করোনার টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
৪. ১২ বছরের বেশি বয়সী সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারিত তারিখের পর টিকার সনদ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৫. স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টগুলোতে ক্রুদের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতেও দেশের বাইরে থেকে আগত ট্রাকের সঙ্গে শুধু চালক থাকতে পারবেন। বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
৭. বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কভিড-১৯ টিকার সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
৮. সর্বসাধারণের করোনার টিকা ও বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার ও উদ্যোগ নেবে।
৯. পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সমাবেশ বন্ধ রাখতে হবে।
১০. স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও মাস্ক পরার বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সচেতন করবেন।
১১. কোনো এলাকার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।