বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শনিবার (৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৪ লাখ ৯৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০ কোটি ৩৮ লাখ। করোনা থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন প্রায় ২৫ কোটি ৮২ লাখের বেশি লোক। বিশ্বে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।
করোনায় মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময়) সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৪ লাখ ৯৭ হাজার৪০৬ জন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘন্টায় সারা বিশ্বে ৬ হাজার ৩৬৫ জন মারা গেছেন।
করোনায় শনাক্ত
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি শনিবার পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩০ কোটি ৩৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪৯৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৬ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৬ জন।
করোনা থেকে সুস্থ
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি শনিবার পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫ কোটি ৮২ লাখ ৯১ হাজার ৮১৫ জন। শনিবার পর্যন্ত বিশ্বে করোনার সক্রিয় রোগী রয়েছে ৪ কোটি ৬৫ হাজার ২৭৩ জন। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছে ৯৩ হাজার ২৪৫ জন।
এদিকে, ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি শুক্রবার সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত-মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। করোনা শুরুর পর থেকে মোট আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যা হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া, ফ্রান্সে শনিবার গত ২৪ ঘন্টায় ৩ লাখ ২৮ হাজার ২১৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৯৩ জন। যুক্তরাজ্য আক্রান্ত ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৫০, মৃত্যু ২২৯, স্পেন আক্রান্ত ১ লাখ ১৫ হাজার ৯০০, মৃত্যু ১৫, আর্জেন্টিনায় ১ লাখ ১০ হাজার ৫৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত ও ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারত ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এসময় মারা গেছে ১৫ জন। ইতালিতে গত ২৪ ঘন্টায় ১ লাখ ৮ হাজার ৩০৪ জন আক্রান্ত ও ২২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে ‘মহামারি’ ঘোষণা করে।