সোমবার থেকে শুরু হওয়া এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউনে’ গরিব মানুষের সহায়তায় কী করা হবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এবারও লকডাউনে গরিবদের সুরক্ষা করবো, নতুন কিছু করবো। শনিবার (২৬ জুন) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাজেটে পরিবর্তন দরকার?
বাজেটের কিছু জায়গা পলিশ করার প্রয়োজন আছে—পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, তার (পরিকল্পনামন্ত্রী) মতামত আগেই পেয়েছি। তিনি কীসের ভিত্তিতে এসব বলেছেন আমার জানা নেই। টিকাদান কর্মসূচি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা ভ্যাকসিনেশন নিয়ে কনসার্ন। যতদ্রুত সম্ভব দেশের মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এই কাজ করবো। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।
লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে
মুস্তফা কামাল আরও বলেন, আমাদের সব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হচ্ছে। রাজস্ব আহরণে ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ও রেমিটেন্সে ভালো আসছে। ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স হয়েছে। অনেকে বলেছে রেমিটেন্স আসবে না। আমরা না নয় হ্যাঁ সূচকে বিশ্বাসী।
অবৈধ চ্যানেলে না যাওয়ার অনুরোধ
লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগর থেকে ২৬৪ অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, অন্যান্য দেশের মানুষও ধরা পড়েছে। আমার কথা কেন অবৈধ চ্যানেলে যেতে হবে। সবাই বৈধ চ্যানেলে বিদেশে যেতে পারলে অনেক সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধি পাবে। আমরা প্রবাসী মন্ত্রণালয়কে এই বিষয়ে বলেছি, বৈধ পথে বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে। তাই আমার অনুরোধ আপনারা অবৈধ পথে বা অবৈধ ফাঁদে পা দেবেন না।
দেশে ৬ কোটি মানুষ দরিদ্র
করোনাভাইরাস সংকটের অর্থনৈতিক পরিণতি বিশ্বের ৬ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এমন ডাটা এখনো আমাদের হাতে আসেনি। তারপরও আমরা গরিবদের সাহায্য করি। গরিবদের ক্যাশ ট্রান্সফার করা হচ্ছে।
অর্থছাড়ে কড়াকরি আরোপ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি। সবাই জানেন সময়টা ভালো যাচ্ছে না। শুধু আমাদের নয়, সারা পৃথিবীতে একটা সংকট চলছে। তাই যেটা প্রয়োজন সেটাই খরচ করছি। আমরা অপচয় বন্ধ করেছি। করোনা সংকটে অহেতুক খরচ একেবারে বন্ধ করে দিয়েছি।