ইউক্রেনে এখনও আটকে রয়েছে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ৪, ২০২২, ০৪:০৫ পিএম

ইউক্রেনে এখনও আটকে রয়েছে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি

ইউক্রেনে রুশ হামলার পর এখন পর্যন্ত ৫৫০ জন বাংলাদেশি দেশটি ছেড়েছেন। অধিকাংশ বাংলাদেশিই ইউক্রেন ছেড়ে পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। রাশিয়ার আক্রমণে কোণঠাসা ইউক্রেনে এখনও আটকে রয়েছে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি। ইউক্রেন থেকে প্রতিবেশী ইউরোপীয় দেশগুলোয় পালিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তারা। 

বাংলাদেশীদের বিভিন্ন পোস্টে বলা হয়, "মেডিকা বর্ডার থেকে শেমিশেল শহরে নিয়মিত শাটল বাস চলছে। যারা বর্ডার পার হয়ে ঢুকছেন, তারা খাবার ও পানি খেয়ে অনুগ্রহ করে দ্রুত শাটল বাসে করে শেমিশেল শহরে চলে যাবেন। সেখান থেকে ট্রেনে করে ওয়ারশ যেতে পারবেন। আবার সেখানে পোল্যান্ড সরকারের শেল্টার হাউজ আছে, যেখানে অল্প সময়ের জন্য থাকা যাবে"।

ইউক্রেনে বর্তমানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস বা কনস্যুলেট নেই। পোল্যান্ডের বাংলাদেশি দূতাবাস ইউক্রেনের সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে যোগাযোগে কাজ করে থাকে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে পালিয়ে দেশটি থেকে আসা লোকের সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছেছে। ইউরোপীয় দেশগুলোও শরণার্থী নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। ইনফো-মাইগ্র্যান্টসের মতে, কঠোর অভিবাসন নীতির জন্য পরিচিত হাঙ্গেরি ও গ্রীসও এসব শরণার্থীদের আশ্রয় নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।  জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড ন্যাশনস হাই কমিশন ফর রিফিউজিস ইউএনএইচসিআরের মতে, আট লাখ ৭৪ হাজারেরও বেশি শরণার্থী ইউক্রেনের সংঘাত থেকে বাঁচতে পালিয়েছে এবং অন্যান্য দেশে নিরাপত্তা চেয়েছে। ইউএনএইচসিআর অনুসারে আরও ১০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে।

বেশিরভাগ শরণার্থী বর্তমানে ইউক্রেনের পশ্চিমে অবস্থিত পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, মলদোভা এবং স্লোভাকিয়া এই ৫টি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্ত নেই এমন ইউরোপীয় দেশ যেমন জার্মানি, ইতালি ও গ্রিসেও প্রায় ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

Link copied!