আগামী বছরের মার্চে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে যেতে পারে। শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) বাগেরহাটে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান।
বিদ্যুৎ বিভাগ সচিব বলেন, “খুব শিগগিরই রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে। আমরা আশা করছি, আগামী মার্চ মাসেই এটি সম্ভব হবে।”
মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণকাজ থেমে থাকেনি। দুইদেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্প হিসেবে রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টের সার্বিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে চলছে।”
এসময় তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “শিগগিরই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিতের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ চলছে।”
রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী-কৈগর্দ্দাশকাঠি মৌজায় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ চলছে। এক হাজার ৮৩৪ একর জমির ওপর এ প্রকল্পটি নির্মাণ হচ্ছে।
এদিকে, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, “ডিসেম্বরেই আমাদের উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। করোনার প্রাদুর্ভাবে ভারত থেকে নির্মাণ শ্রমিক আনা-নেওয়ায় জটিলতাসহ সমসাময়িক নানা প্রতিকূলতার কারণেই উৎপাদনে যাওয়ার টার্গেট বিলম্ব হচ্ছে। তবে, এখন আশা করছি আগামী মার্চ মাসের শেষের দিকে উৎপাদনে যেতে পারব।”