সম্প্রতি দেশে এলএসডি জব্দ করায় অনেকেই কৌতুহলী হয়ে পড়েছে। এলএসডি নেওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হাফিজ নিজ গলায় দা দিয়ে কুপিয়ে আত্মহত্যা করলেও অনেকেই এটাকে শুধু হ্যাপি ট্রিপিং হিসেবে ভাবছেন। কিন্তু আসলেই কি এলএসডি শুধু হ্যাপি ট্রিপিংয়ের ব্যবস্থা করে? এলএসডির নেওয়ার পর ব্যাড ট্রিপের ঘটনা্ও রয়েছে অসংখ্য। চলুন জেনে নেয়া যাক এলএসডি গ্রহণের পর ভয়াবহ অপরাধের কিছু লোমহর্ষক ঘটনা।
স্টেফেন কেসলার ( এলএসডি কিলার)
নিজের শ্বাশুড়িকে ১০৫ বার ছুরির আঘাতে বিদ্ধ করার পর সরল স্বীকারোক্তি। ১৯৬৬ সালে এলএসডি গ্রহণ করে স্টেফেন কেসলারের এই হত্যাকান্ড পুরো যুক্তরাষ্ট্রকে কাপিয়ে দেয়। তৎকালীন পত্রপত্রিকা তাকে তখন এলএসডি কিলার নামে আখ্যায়িত করে। গ্রেফতারের সময় নিজেই বলেছিলেন তিনদিন যাবত এলএসডি গ্রহণের ফলে এমন কাজ করেছেন। হার্ভার্ড গ্রাজুয়েট কেসলার ডাক্তারি পড়াশুনা করতে পারেনি মাদকাসক্তির কারনে।
নিজ শ্বাশুড়িকে হত্যা করে স্বীকারোক্তি দেন তিনি।
ব্রায়ান ওয়াকার (মায়ের হত্যাকারী)
কিভাবে খুন করলেন নিজের জন্মদাত্রী মাকে তা সম্পর্কে কিছুই জানে না ব্রায়ান ওয়াকার। ১৯৯৭ সালের জানুয়ারিতে সাড়ে পাঁচ ইঞ্চির ছুরি দিয়ে নিজের মাকে হত্যা করেন তিনি। শৈশব কাল থেকে মাদক গ্রহণ করায় বিভিন্ন ভাবে সঠিক পথে ফেরাতে চেষ্টা করতেন ব্রায়ানের মা। কিন্তু জীবন দিয়েই সন্তানের বিভৎস রূপের সাক্ষী হতে হয় তাকে। ব্রায়ান আদালতে স্বীকার করে যে এলএসডি নেয়ার ফলে হত্যাকালীন সময়ে কোন স্মৃতি মনে পড়ছে না তার। আদালত তাকে ৩০ বছরের জেল দেয়।
মারি ডিকেন (পুলিশ কর্মকর্তার হত্যাকান্ড)
এলএসডি গ্রহণের বিভ্রমে নিজের দাদীকে খুন করে মারি ডিকেন। সেই সাথে একজন পুলিশ সদস্যকেও খুন করেন তিনি। খুন করেও এমন ভাবলেশহীন থাকার কারন হিসেবে এলএসডি গ্রহণের কথা জানান নার্সকে। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে নিজ বাসায় ২০১৮ সালে এমন হত্যাকান্ড চালান তিনি।
নিজ দাদী ও পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেন এলএসডিতে বুদ হয়ে।