ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩, ০৮:৫৯ পিএম
বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ব্র্যাকের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার(৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ‘হোপ ফেস্টিভ্যাল’। রাজধানীতে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া এই ফেস্টিভ্যাল চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমে পাঠানা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’, ‘সম্ভাবনার শক্তি’ এবং ‘যে পৃথিবী আমরা গড়তে চাই’ এই তিনটি প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাজানো হয়েছে তিনদিনের অনুষ্ঠানমালা। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ্ই আয়োজনে দর্শকদের জন্য থাকছে আবহমান বাংলার চিরায়ত লোকজ সংস্কৃতির সম্মিলন, পুঁথিপাঠ, গল্পপাঠের আসর, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, শিশুদের খেলার জগত, আলোচনা অনুষ্ঠান ও দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের নিজ কার্যালয়ের পরিচয়পত্র সাথে নিয়ে আসার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়। আর্মি স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা কর্মী ও আয়োজকদের এই পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভিআইপি গেইট-১ দিয়ে সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে পারবেন বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানা হয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হৃদয় হতে, সারা বিশ্বজুড়ে আশা জাগানোর ৫০ বছরের পথচলা আর বাংলাদেশের মানুষের দৃঢ়তা, সাহস ও এগিয়ে যাওয়ার শক্তিকে উদযাপন করতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ উৎসব। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি এ উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁতে হোপ ফেস্টিভ্যাল নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্, ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা আবেদ, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম ও বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর।
ওই সংবাদ সম্মেলনে আসিফ সালেহ্ বলেন, মানুষের যে জয়, আমরা এই ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে তা তুলে ধরতে চাই। পাশাপাশি তরুণ সম্প্রদায়কে নিয়ে নতুন পরিবর্তনে সব মানুষ এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
তামারা আবেদ বলেন, ৫০ বছর ধরে আমরা যে কাজ করেছি, এগুলো মানুষের মধ্যে তুলে ধরতে চাই। আজকে দেশের পরিবর্তনের মাধ্যমে যে উন্নয়ন, পরিবর্তনের দাবিদার এদেশের মানুষ। এখন এ দেশকে আরও এগিয়ে নিতে, মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের আরও কী কী করণীয়, সেই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য শিক্ষা, আর্থিক ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানসিক স্বাস্থ্যের মতো জনগুরুত্ব বিষয়গুলো এবং এ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো। বিশেষত তরুণ সমাজকে সামগ্রিকভাবে দেশের ও নিজ নিজ এলাকার সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে উৎসাহ যোগাতে চায় ব্র্যাক।