বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “বেগম জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে সরিয়ে দিতে চায় সরকার। আইন নয়, বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার পথে বাধা হলো এই সরকার। তারা চায়, বেগম জিয়া নিশ্চুপ হয়ে যাক।”
বুধবার (০১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে মৌন মিছিল শুরু হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে মৌন মিছিলে সকাল থেকে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন নেতা-কর্মীরা। কিন্তু আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বাধা দেয়ায় দলের কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচী পালন করে মহিলা দল।
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আজ কর্মসূচীর বাধাতেই বোঝা যায়, সরকার আন্দোলনকে ভয় পায়।”
তিনি বলেন, “আমরা সবাই জানি বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। আজকে তিনি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। কেন সরকার তাকে বিদেশে যেতে দিতে চায় না? তারা আইনের কথা বলে। কিন্তু আইনের মধ্যেই বলা আছে সরকার চাইলেই তাকে এই মুহূর্তে বিদেশে পাঠাতে পারে। বাধা আইন নয়। বাধা হচ্ছে এই অবৈধ সরকার। আজকে বেগম খালেদা জিয়াকে তারা স্তব্ধ করে দিতে চায়। তারা তাকে কথা বলতে দিতে চায় না।”
মহিলা দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আজকে আমাদের এখানে বক্তব্য দিলে হবে না। সারাদেশে ঘরে ঘরে গিয়ে আমাদের মা-বোনদের জাগিয়ে তুলতে হবে। সমস্ত মানুষকে একত্রিত করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এ দেশের যে স্বাধীনতাগুলো আমরা অর্জন করেছিলাম ১৯৭১ সালে। আজকে সেই স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ সরকার লুট করে নিয়েছে। শুধুমাত্র তাদের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য।”
ফখরুল বলেন, “আমাদের জীবন বাজি রেখে লড়াই করতে হবে। ১৯৭১ সালে আমরা যেভাবে লড়াই করেছি, আমাদের মা-বোনেরা যেভাবে সংগ্রাম করেছেন, আজকে আবার দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লক্ষ্যে তেমনই সংগ্রাম করতে হবে।”
এ সময় মহিলা দলের মিছিলে পুলিশি বাধার প্রতিবাদও জানান ফখরুল।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের স্খায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অনেকে।