আরো ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য খন্দকার মোশাররফের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) এ এইচ এম ফুয়াদকে। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক হোসেনের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নতুন করে রিমান্ডের নির্দেশ দেওয়ার আগে ফুয়াদের আরো ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
২ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে ফুয়াদকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে ফোয়াদের আরো ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল গফফার। শুনানি শেষে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ফুয়াদকে আবারও পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ফুয়াদ ফরিদপুরের আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলার অন্যতম আসামি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি।
তার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। এর ভেতর মানি লন্ডারিং ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ফুয়াদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, হত্যাসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে । এর মধ্যে সাতটি মামলায় অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন এইচএম ফুয়াদ দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর যাবৎ হাতুড়ি বাহিনী, হেলমেট বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজি, পাসপোর্ট অফিস, বিভিন্ন হাট-বাজার ইজারা নিয়ন্ত্রণ ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ২০১৫ সালের ১৫ ই জুন বাসস্ট্যান্ডে ছোটন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং আজকে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
প্রসঙ্গত এএইচএম ফুয়াদ জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ২০২০ সালের ৭ জুন ফরিদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হলে তিনি আত্মগোপন করেন । দীর্ঘদিন ধরে তিনি আত্মগোপন করেছিলেন তাকে ধরার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বারবার পুলিশ অভিযান গ্রেপ্তার করতে পারেনি ।