ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২, ০৯:২৩ পিএম
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, “সামনে রোজা আসছে। শাকসবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে আমি আশ্বস্ত করতে পারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমাদের সবজির যে উৎপাদন হয়েছে, তাতে রোজায় দাম বাড়বে না।”
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটরিয়ামে 'পুষ্টি নিরাপত্তা ও কৃষি রূপান্তরে সবজির অবদান' বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে মন্ত্রী কেআইবি চত্বরে জাতীয় সবজি মেলা ২০২২ উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, “দানাদার খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। এখন নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের নিশ্চিত করতে কাজ করছি। পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে শাকসবজি ফলমূল উৎপাদনে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। ফলে গত ১২ বছরে সবজির উৎপাদন বেড়েছে ৭ গুণ।”
বর্তমানে ১ কোটি ৯৭ লাখ টন সবজি উৎপাদন করে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় স্থানে আছে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “সবজির বিপণনে কিছু সমস্যা আছে। পরিবহণ চাঁদাবাজি, মধ্যস্বত্ত্বভোগীসহ অনেক সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যা সমাধান করতে পারলে সবজির ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে। সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে।”
“আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সবাইকে কাজ করতে হবে যেন সবজির দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে,” যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “দেশে সবজি রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক। রপ্তানি বাড়াতে আমরা কাজ করছি। অচিরেই সবজি রপ্তানি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম উৎসে পরিণত হবে।”
এ সময় মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন মন্ত্রী।
কৃষি মন্ত্রণালয় ৬ষ্ঠ বারের মতো আয়োজন করেছে এই মেলা, যা আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে সবজি মেলা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ বছরে দেশে সবজি উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। এ খাত থেকে জিডিপির ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ আসে। দেশে প্রায় ১০০টির মতো সবজি চাষ হয়ে থাকে।
২০২০-২১ অর্থবছরে ৯ লাখ ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে ১ কাটি ৯৭ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন হয়েছে।
জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয়, চীন ১ম ও ভারত ২য়।