এটিএম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১, ১০:৩৭ পিএম

এটিএম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদক প্রাপ্ত কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে এখন স্বাভাবিক রয়েছে। তাছাড়া তার বেশকিছু টেস্টের রিপোর্টও ভালো এসেছে বলে জানিয়েছেন এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ।

এর আগে বুধবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি হন এ অভিনেতা। সেখানে ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।

তার মেয়ে কোয়েল আহমেদ এবং স্ত্রী রানী জামান জানান, এটিএম শামসুজ্জামান গত কয়েকদিন ধরে অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছিল এবং সময়মতো হাসপাতালে ভর্তি করা না হলে খারাপ কিছু হতে পারতো।

তবে বৃহস্পতিবার তার সামগ্রিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় অক্সিজেনের স্যাচুরেশন মাত্রা ৮৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তার সিটি স্ক্যানসহ অন্যান্য পরীক্ষার রিপোর্টগুলোও সন্তোষজনক বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছেন এটিএম শামসুজ্জামান। এর আগেও একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। গেল বছরের ৩০ এপ্রিল তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন এটিএম শামসুজ্জামান। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন।

প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় তার আগমন ১৯৬৫ সালে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি।

এটিএম শামসুজ্জামান পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক লাভ করেন এই শিল্পী।

Link copied!