আমেনা বেগম (২১) হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজের চার তলায় কাজ করতেন। একই ফ্লোরে কাজ করতেন তার স্বামী রাজীব হোসেন। বিকেল ৫ টায় কাজ শেষে রাজীব হোসেন ফিরলেও ওভারটাইম করে ফেরার কথা বলেন আমেনা বেগম। কিন্তু ওভারটাইম করে যে ফেরা হবে না এমন জানলে কখনওই থাকতে দিতেন না বলে জানায় তার স্বামী রাজীব হোসেন।
স্ত্রী ওভারটাইম কাজ করবে এই ছিল রাজীব হোসেনে সাথে শেষ কথা।
স্বামী,স্ত্রী ও শাশুড়ি একই সাথে কাজ করতেন
আমেনা বেগম ও রাজীব হোসেন প্রায় ৫ বছর ধরে এই কারখানায় কাজ করতেন। আমেনা বেগমের শাশুড়ি রাহিমা বেগমের হাত ধরেই কাজে ঢুকেন তিনি। রাহিমা বেগম ২০ বছর ধরে কাজ করতে জুস কারখানায়। নীচ তলায় তার কর্মস্থল ছিল। বিকেল ৫ টায় তিনি ও তার ছেলে বের হয়ে যান। পুত্রবধু আমেনা বেগম ওভারটাইম করে ফিরবে বলে জানায়। বিকেল ৬ টায় হঠাৎ ফোন আসে দ্রুত অক্সিজেন প্রয়োজন। হাসপাতালে তার পুত্রবধু। ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে গেলেও এখন (বিকেল ৫টা) পর্যন্ত কোন খোঁজ পাননি।
রাতভর খোঁজ করেছেন
গতবৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ইউএস বাংলা হাসপাতালে খোঁজ নেন। কিন্তু তালিকায় নাম পাওয়া যায়নি আমেনা বেগমের। তারপর সকাল থেকে কারখানায় ক্লান্তিহীন অপেক্ষা। বাঁচারা আশা ছেড়ে দেয়া হলেও লাশের অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘতর হচ্ছে। এখন তিনি নিশ্চিত নয় পুড়ে অঙ্গার হয়েছে লাশ, নাকি নিশ্চিত হবার জন্য অন্তত সঠিক লাশটা পাওয়া যাবে।