কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করিমগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রবিবার জেলা প্রশাসক মো. শামীম আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে প্রতিকার চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আবেদনের পাশাপাশি ইউএনও মনজুর হোসেনকে আইনি নোটিশ পাঠান ওই ছাত্রী। আবেদনের পর এ ঘটনা তদন্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
ওই কলেজছাত্রী গত অক্টোবরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগে দেন। এতে তিনি জানান, ২০২১ সালে বাসাইলের ইউএনও থাকাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে ইউএনও তাকে তার সরকারি বাসভবনে নিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে পারিবারিকভাবে মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে ঠিক হলেও ইউএনও বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে তা থামিয়ে দেন। এ সময় ইউএনও টাঙ্গাইল কুমুদিনী কলেজের পাশে নিজের তথ্য লুকিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে তাকে নিয়ে দুই মাস সংসার করেন।
এক পর্যায়ে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের ও সামাজিকভাবে স্বীকৃতির জন্য ইউএনওকে চাপ দিলে গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাকে কলকাতা নিয়ে বিয়ে করার আশ্বাস দেন। ভারতে গিয়ে হায়দরাবাদে একটি বাসায় থেকে দু'জনেই চিকিৎসা নেন। এ সময় ওই কলেজছাত্রী ইউএনওর পাসপোর্ট বের করে জানতে পারেন তিনি বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে। পরে তাদের সম্পর্কের বিষয় কারও সঙ্গে শেয়ার করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন মনজুর।
ভারতে ১২ দিন অবস্থান শেষে তারা দেশে ফিরে আসেন। এরপর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও ইউএনও ওই কলেজছাত্রীকে স্ত্রীর মর্যাদা দেননি। পরবর্তীতে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যৌন হয়রানি ও প্রতারণার অভিযোগ করেন।