সারাদেশে চলছে গণটিকা কার্যক্রম। এই কার্যক্রমে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির পেশা, ছাত্র ও কর্মজীবী মানুষ টিকা নিচ্ছেন। তবে যারা কারাগারে রয়েছেন তাদের টিকার আওতায় রাখা হয়নি। এমতাবস্থায় কারাগারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে তা বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি কম থাকায় কারাবন্দীদের টিকাদানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আপততো পরিকল্পনা নেই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এডিশনাল আইজি (প্রিজন) কর্ণেল আবরার হোসেন দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘কারাগারে করোনা সংক্রমণ বাড়লে ডিজাস্টার হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন,কমঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় টিকা না দিয়ে কি সংক্রমণ বাড়লে দিবেন? কারাগারে করোনা ভয়ানকভাবে শুরু হলে ডিজস্টার হয়ে যাবে। এই জন্যেইতো আমরা প্রিভেনশনের(প্রতিরোধে) জন্য কাজ করছি। আমরা অনেক কষ্ট করে এইগুলো (কারাবন্দীদের) ইন্টারোগেট করছি। কোথাও কারো সিম্পটন দেখা দিলে সাথে সাথে আইসোলেশান, কোয়ারেন্টাইন করছি। একজন-দুইজন আক্রান্ত হলে কিন্তু আর নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ভ্যাক্সিনটা হইলে আমরা একটু নিশ্চিন্ত হই ।’
কারাগার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৪ মার্চ সুরক্ষা বিভাগে কারাবন্দীদের টিকাদানের পরিকল্পনার আবেদন জমা দেয়া হয়।ওই মসের মধ্যেই এই চিঠি যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে।
গত ৬ আগস্ট মহাখালী বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) অডিটোরিয়াম হলে সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কয়েদিদের টিকাদান পরিকল্পনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান কারাগারে সংক্রমণ ঝুঁকি কম থাকায় আপাতত টিকাদানের পরিকল্পনা নেই কারাবন্দীদের। দেশে সংক্রমণ ঝুঁকির কথা চিন্তা করে এবং টিকার স্বল্পতা বিবেচনায় অগ্রাধিকার তালিকায় আওতাভুক্ত করা হয়নি তাদের।
কয়েদিদের করোনা টিকার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা দ্য রিপোর্টকে জানান, কারাগারে কয়েদিদের টিকাদানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে কোন নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়নি।
কারাগার সুত্রে জানা যায়, দেশের ৬৮টি কারাগারে ৭৮হাজারের অধিক কারাবন্দী আছেন।সুত্রটির দাবি এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হারে বন্দীদের তুলনায় কারাগার স্টাফ এবং কারারক্ষীরাই এগিয়ে।