ঢাকায় সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘বাংলাকে কোন শক্তি দাবায়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ অঞ্চলের উন্নতির জন্য ভারত-বাংলাদেশকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের কাছেই গণতন্ত্রের শক্তি আছে, এগিয়ে যাওয়ারা দূরদর্শিতা রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অগ্রযাত্রা এই পুরো অঞ্চলের জন্য সমান জরুরি।’
শুক্রবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে মোদি এসব কথা বলেন। ‘মুজিব চিরন্তন’প্রতিপাদ্যে দশ দিনব্যাপী আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের আজ শেষ দিন।
এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর আর ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর একসাথে পড়েছে। একবিংশ শতাব্দীর আগামী ২৫ বছর উভয় দেশেরই জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
‘৭১ সালের মতো এখনো সমান বিপদও রয়েছে। এই জাতীয় অমানবিক ঘটনাবলীর পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবে রূপদানকারী শক্তিগুলো এখনো সক্রিয় রয়েছে। আমাদের অবশ্যই তাদের থেকে সাবধানে থাকতে হবে এবং ওদের মোকাবিলা করার জন্য সংগঠিতও হতে হবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য ভারতে সুবর্ণজয়ন্তী স্কলারশিপের ঘোষণা দেন। তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ভারতে গিয়ে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে ভারতে গিয়ে ভারতের ব্যবসায়ীদের শেখাতে এবং শিখে আসার অনুরোধ করেন মোদি।
বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাই, যিনি সোনার বাংলার স্বপ্নের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। মোদি তার বক্তব্যে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদদের।’
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণকে ভারতের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান নরেন্দ্র মোদি।
বিকাল সাড়ে ৪টায় মোদি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠানস্থলে এলে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা তাকে স্বাগত জানান। এরপর ছায়ানটের শিল্পীদের কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিনে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অতিথিরা মঞ্চে এলে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয় ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।