ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩, ১০:১৯ পিএম
অনির্বাচিত সরকারকে ‘আতঙ্কের নাম’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, “ক্ষমতায় আসতে চাইলে অনির্বাচিত সরকারের দুঃস্বপ্ন বাদ দিয়ে নির্বাচনে আসুন। এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করুন।” যারা অনির্বাচিত সরকারের কথা বলছেন, তারা দেশ ও জনগণকে আতঙ্কের মধ্যে ফিরিয়ে নিতে চায় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ নেতা বলেন, “অনির্বাচিত সরকার জনগণ মেনে নেবে না। অনির্বাচিত সরকার ফিরে আসবে না। অনির্বাচিত সরকারের স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। যারা অনির্বাচিত সরকার চান, তারা এই দুঃস্বপ্ন বাদ দিয়ে সরকারে আসতে চাইলে নির্বাচনে আসুন। এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করুন।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “অনির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে যাদের ক্ষমতায় আসার ইচ্ছা, তাদের বলব, রাজনীতি করেন, জনগণের কাছে যান। জনগণের ভোট নেন, ক্ষমতায় আসেন। কোনো আপত্তি নেই। জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে, এটাই বাস্তবতা।”
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ আগামীতেও কেউ নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলার বা সমালোচনার সুযোগ পাবে না। আমরা আজ ক্ষমতায় আছি। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য আমরাই সংগ্রাম করেছি। ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করি।” এসময় তিনি বলেন, ছয়টি উপনির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেও নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করার সক্ষমতা রাখে।
জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার জন্যই আন্দোলন- সংগ্রাম করেছি উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, “সেই সংগ্রামের সাফল্য বয়ে এনে আজকে ভাতের অধিকার যেমন আমরা নিশ্চিত করেছি, তেমনি ভোটের অধিকারও আমরা নিশ্চিত করেছি। এটাই বাস্তব। যদিও দুঃখজনক হলেও সত্যি, এই বাস্তবতাকে কেউ কেউ অস্বীকার করতে চায়।”
সংসদে বুধবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের টেলিফোনে আড়িপাতার সমালোচনা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “টেলিফোনে আড়িপাতা নিয়ে কেউ কেউ কথা বলছেন। কিন্তু আড়িপাতা না গেলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করা হবে কিভাবে? আড়িপাতার মাধ্যমেই জানা সম্ভব, কারা ষড়যন্ত্র করছে, সন্ত্রাস সৃষ্টি ও জঙ্গি তৎপরতার পরিকল্পনা করছে। তাই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু করা হবে।” এসময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটা আইনসিদ্ধ বলেও দাবি করেন তিনি।
সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করার কাজ চলছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছাব।” এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব বলে সরকারপ্রধান আশা প্রকাশ করেন।