গুরুতর অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে দায় নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলের আগে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরাতে জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তার কিছু হলে সরকারকেই দায় নিতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আবারও সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছে তার পরিবার। ইতোমধ্যে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নতুন করে আবেদনও করেছেন। এসময় মানবিক বিবেচনায় হলেও খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ১২ অক্টোবর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর গত ৭ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। কিন্তু সপ্তাহ না ঘুরতেই শনিবার (১৩ নভেম্বর) তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করার পর এখন সিসিইউতে রাখা হয়েছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দাঁত, চোখের প্রদাহ, হৃদরোগসহ বয়সজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত ২৫ অক্টোবর ২৫ অক্টোবর শরীরের টিউমার ধরা পড়ায় খালেদা জিয়ার বায়োপসি করা হয়।ওইসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার বায়োপসি রিপোর্টে ক্যান্সারের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হলে খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। করোনার কারণে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এখন পর্যন্ত চারবার খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় বাড়ানো হয়েছে।