ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার পার্টির আয়োজন করেছে বিনপি। রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়।
ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণকারী বিদেশি কূটনীতিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া, ইফতারের আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভ্যাগত কূটনীতিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্যে বলেন, “আগে সবসময় দলের চেয়ারম্যান খালেদা জিয়া আপনাদের সাথে ইফতারে করতেন। তিনি আজ গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন।”পরে কূটনীতিকরা বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মার শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে আয়োজিত মোনাজাতে অংশ নেন।
ইফতার পার্টিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কূটনীতিকদের মধ্যে প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ড, তুরষ্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান একই টেবিলে বসে ইফতার করেন।
বৃটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শি্উয়াখ, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেনসহ পাকিস্তান, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা যোগ দেন। এছাড়া জাতিসংঘ শরনার্থী কমিশন, ইউএনডিপি, এনডিআই, ডেমোক্রেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
ইফতারে বিএনপির অন্য নেতাদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, বিএনপিপন্থী দেশের অনেক শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, আইনজীবী, সাংবাদিক, সাবেক আমলা, কূটনীতিক ইফতার পার্টিতে অংশ নেন।