১২ বছর বয়সী শিশুর গলাকাটা মরদেহসহ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে পুলিশ টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থেকে এক শিশুর গলাকাটা মরদেহ, জেলার সখীপুর উপজেলা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের এবং শনিবার দিবাগত রাতে গোপালপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে।
নাগরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, “সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের ড্রেন থেকে গলাকাটা অবস্থায় ১২ ঘণ্টা বয়সী এক কন্যা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোন এক সময় হাসপাতালেই শিশুটির জন্ম হয়েছে।”
নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোকনুজ্জামান খান জানান, শনিবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে এক যুবতী হাসপাতালে পেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন। ভোরের দিকে ওই যুবতী বাথরুমে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটান। এরপর বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর ওই যুবতীর আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়া শিশুর মরদেহটি ওই যুবতীর সন্তান।
এদিকে সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালিদাসপাড়া এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সখীপুর থানা পুলিশ জানায়, সকালে স্থানীয় লোকজন অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
অন্যদিকে, শনিবার রাতে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ব্রিজের ভাঙা পাটাতনে ধাক্কা লেগে মশিউর রহমান (৪০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।মশিউর রহমানের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠি গ্রামে।
মশিউরের সহকর্মী আশিক বিল্লাহ গণমাধ্যমে জানান, গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল বাজারের কয়েকটি ওষুধের দোকান থেকে পাওনা টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন মশিউর। পথে ঝাওয়াইল বেইলি ব্রিজের ভাঙা পাটাতনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান তিনি। স্থানীয়রা উদ্ধার করে গোপালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।