গুচ্ছগ্রামের ২০টি ঘর বিক্রি, হিজড়া দলনেতা গ্রেপ্তার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১০, ২০২৩, ১১:৪০ পিএম

গুচ্ছগ্রামের ২০টি ঘর বিক্রি, হিজড়া দলনেতা গ্রেপ্তার

সরকারি গুচ্ছগ্রামের ২০টি টিন শেডের ঘর কাঠামোসহ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার পর হিজড়াদের দলনেতা (গুরুমা) রুবী বেগম ওরফে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার তাঁকে আদলাতের মাধ্যমে কারাগারের পাঠানো হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নে। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে রবিবার ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা করা হয়। এতে ২০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর ওই দিন দিবাগত রাতে প্রধান আসামি রুবী ওরফে রুবেলকে তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খবরটি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, তৃতীয় লিঙ্গের সুবিধাভোগীদের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে গুচ্ছগ্রাম দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের আওতায় ঠাকুরগাঁও শহরের কহরপাড়ায় টিনশেডের ২০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। ওই ঘরে আসামিরা বসবাস করে আসছিলেন। পরে তাঁরা বিভিন্ন সময় ঘরগুলো টিনশেডসহ ঘরের কাঠামো বিক্রি করে দেন। গত শুক্রবার বিকেলে ঘরগুলো পরিদর্শন করে ১৬টি ঘরের খোঁজ পায়নি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। প্রতিটি ঘরের মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।

নারগুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, পশ্চিম নারগুন ইক্ষু খামার এলাকায় ২০১৯ সালে এই জনগোষ্ঠীর ৩০ সদস্যদের জন্য সরকার টিনের তৈরি বাড়ি করে দেওয়া হয়। এরপর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় তাদের সেমিপাকা বাড়িও দেওয়া হয়। তবে টিনের ঘরগুলোতে ফাঁকা পড়েছিল। হঠাৎ করে ঘরগুলো গায়েব হয়ে যায়।

থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, নারগুন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা হাসান আলী বাদী হয়ে সরকারি ঘর বিক্রি করার অভিযোগে মামলা করেছেন। ওই মামলায় রুবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, সরকারি ঘর বিক্রি করে দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ। এ বিষয়ে ভূমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিলা তাসনিমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।

Link copied!