সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২, ০৯:৪৪ এএম
গ্যাস বেলুনের বিস্ফোরণে মারাত্মক আহত হয়েছেন মিরাক্কেলখ্যাত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পাঁচ জন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার আগে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থল জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত অন্যরা হলেন: ইমরান হোসেন, মোশাররফ হোসেন, জিল্লুর রহমান ও রুবেল হোসেন।
আহতদের মধ্যে রনিসহ তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। পরে শুক্রবার সাড়ে ১০টার দিকে রনিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
শনিবার সকালে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, রনির শরীর ২৪ শতাংশ ও জিল্লুর রহমানের আনুমানিক ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক না হলেও দগ্ধের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এ জন্য তাদের ভর্তি রেখে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার চার বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার নাগরিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরে এসে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ লাইনসে প্রধান অতিথি আসার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় উদ্বোধনী মঞ্চে। ওড়ানোর জন্য সেখানে তাঁর হাতে কিছু বেলুন দেওয়া হয়। বার বার চেষ্টা করেও সেই বেলুন ওড়াতে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা সেই বেলুনগুলো মঞ্চের পাশে নিয়ে যায়। প্রধান অতিথি মূল মঞ্চে চলে যাওয়ার পর পুলিশ সদস্যরা বেলুন বিক্রেতাকে ডেকে এনে সেগুলো না ওড়ার কারণ জানতে চান। তখন বিক্রেতা বেলুনে আগুন ধরিয়ে ওড়ানোর চেষ্টার করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশে বসে থাকা মিরাক্কেলখ্যাত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পাঁচ জন দগ্ধ হয়।
পুলিশ সদস্যরা তাদের শরীরে পানি ঢেলে আগুন নেভায়। পরে পুলিশের গাড়িতে দ্রুত আহতদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর রনি, মোশাররফ হোসেন ও জিল্লুর রহমানকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
জিএমপির সহকারী কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন গণমাধ্যমকে বলেন, মঞ্চের পূর্ব পাশেই ওড়ানোর জন্য কিছু গ্যাস বেলুন রাখা ছিল। প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পরও সেগুলো ওড়াতে ব্যর্থ হন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের দিকে চলে যান। এরপর বেলুনগুলো নিয়ে যাওয়া হয় উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে। কিছুক্ষণ পরই সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।