মার্চ ২২, ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম
গৃহহীন ও ভৃমিহীন মানুষেরা উপহারের ঘর পাওয়ার পর তাদের মুখে যে হাসি সেই হাসিটাই নিজের সবচেয়ে বড় পাওয়া বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষ সমাজের বোঝা না হয়ে যাতে সুন্দর জীবন-জীবিকা পায় এবং সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকে, সেজন্য আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করেছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
বুধবার দুপুরে গৃহহীন ও ভৃমিহীনদের ঘর উপহার দেওয়ার প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ে আরও ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি খুব আনন্দিত যে মানুষকে মাথা গোজার ঠাঁই করে দিতে পারছি। আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেখানেই থাকুক নিশ্চয়ই তার আত্মা শান্তি পাবে। দুঃখী মানুষের মুখে যে হাসি ঘর পাওয়ার পর, সেই হাসিটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।”
কোনো এলাকায় ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকলে তা জানানোর অনুরোধ জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “কোনো এলাকায় যদি কেউ ভূমিহীন পরিবার থাকে সেই তালিকা করবেন। আমরা ঘর করে দেবো।”
এসময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, “আমরা চাই, প্রত্যেকটা মানুষ আশ্রয় পাবে, জীবন-জীবিকা পাবে। সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে না। নিজের পায়ে সম্মানের সঙ্গে বসবাস করবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
বঙ্গবন্ধুর গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর উপহার দেওয়ার পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, “জাতির পিতা শুধু ঘর এবং স্বাধীনতাই দেননি এদেশের মানুষের জীবন জীবিকার জন্য তিনি যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন, তা যদি বাস্তবায়ন করে যেতে পারতেন তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীনতার ১০ বছরের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠতো।”
প্রসঙ্গত, সরকারের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আরও ৪০ হাজার একক ঘর পেলেন গৃহহীণ ভূমিহীন পরিবার।উপজেলাগুলো হলো-গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প; সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বানারীপাড়া পৌরসভার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্প।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দুই লাখ ৩৭ হাজার ৮৩১টি ঘর প্রদান করা হয়েছে। এসব ঘরের উপকারভোগীর সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ মানুষ।
তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি, তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ২০২২ সালের ২১ জুলাই ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৬৬৫টি ঘর হস্তান্তর করা হলো। এতে করে চিহ্নিত দুই লাখ ৫৯ হাজার ২৩৭টি পরিবারের মধ্যে দুই লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি পরিবারকে ঘর হস্তান্তর সম্পন্ন হলো।