বেটা
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নৌকাডুবি, গাছ ভেঙ্গে পড় ও দেয়াল ধসে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন বলে বাসস ও ইউএনবি সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। এর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই ঝড়ো হাওয়া আর ভারি বর্ষণ শুরু হয় দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে।
সবচেয়ে বেশি মারা গেছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। সেখানকার সন্দ্বীপ চ্যানেলে তীব্র বাতাস ও ঢেউয়ে বালু তোলার ড্রেজার ডুবে গেলে ৮ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় গাছ ভেঙে সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে বহু এলাকা অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার খবর আসতে থাকে। ভোলা সদর, দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাশনে ৪ জনের মৃত্যু হয়।
কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোটে ঝড়ের সময় ঘরের ওপর গাছ পড়লে এক দম্পতি এবং তাদের চার বছরের শিশুর মৃত্যু হয়।
টাঙ্গাইলে ঝড়ের কবলে মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য ও এক আসামির মৃত্যু হয়। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গাছ ভেঙে পড়ে দুজন এবং নড়াইলের লোহাগড়া ও বরগুনা সদর উপজেলায় একজন করে মারা গেছেন।
সিরাজগঞ্জের সদরে যমুনা নদীর একটি খালে নৌকা ডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় এক শ্রমিক মারা গেছেন। এ ছাড়া, রাজধানীর হাজারীবাগেও দেয়ালধসে এক রিকশাচালকের মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
বরগুনা সদর উপজেলার সোনাখালী এলাকায় একটি ঘরের চালে গাছ পড়লে চাপা পড়ে এক নারী মারা গেছেন। রান্নাঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা গ্রামে। অন্যদিকে, শরীয়তপুরে গাছের নিচে চাপা পড়ে সাফিয়া বেগম (৬৫) নামে এক নারী মারা গেছেন।
কক্সবাজারের টেকনাফে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ইকুরিয়া গ্রামে ঝড়ের সময় ঘরচাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় বসত ঘরে গাছ ভেঙে পড়ার ঘটনায় মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
