চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়া নেই, জিয়ার লাশ নেই: প্রধানমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ২৬, ২০২১, ০২:১৮ পিএম

চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়া নেই, জিয়ার লাশ নেই: প্রধানমন্ত্রী

সম্প্রতি চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে  পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনার সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী  ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, 'বিএনপি জানে না সেখানে জিয়া নাই, জিয়ার লাশ নাই? তাহলে এত নাটক করে কেন? খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়া কি কখনো তার লাশ দেখেছে? ওখানে একটা বাক্স নিয়ে এসেছিল। তাহলে তারা সেখানে যায় কেন? সেখানে গিয়ে মারামারি-ধস্তাধস্তি কেন? মারামারি-ধস্তাধস্তির অভ্যাস তাদের এখনো যায়নি।'

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনায় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তারেক রহমান বলতে পারবে যে সে তার বাবাকে দেখেছে। গুলি খাওয়া লাশ তো দেখাই যায়। তার একটা ছবি দেখেছে কেউ। দেখেনি। কাজই ওখানে কোনো লাশ ছিল না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা তো খালেদাও ভালো করে জানে। তারেক কি বলতে পারবে তারা লাশ দেখেছে? সেখানে একটি বক্স আনা হয়েছিল। এরশাদই বলেছে, সেখানে কমব্যাট ড্রেস পড়া ছিল। জিয়া তখন প্রেসিডেন্ট। সে কি কমব্যাট ড্রেস পরত? এটা কি বিএনপি জানে না?’

‘অন্যায় কখনো আল্লাহও মেনে নেয় না’উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তারা (ঘাতকরা) এ দেশের নাম দিয়েছিল ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বেতারের নাম পরিবর্তন করে রেখেছিল রেডিও বাংলাদেশ। কিন্তু তা ধরে রাখতে তারা পারেনি। এ দেশের মানুষও মেনে নেয়নি।’

বিএনপি প্রতিষ্ঠাতার যুদ্ধে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কোথায় যুদ্ধ করেছে, এমন নজির নাই। অস্ত্রহাতে নিয়ে যুদ্ধ করে নাই। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে নেতৃত্বে ছিল। কিন্তু যুদ্ধ লাগলেই দূরে থাকত।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল। জনগণ তাকে ঘেরাও করে আটকও করে। তাকে ধরে এনে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়। প্রথম দিকে অনেক আপত্তি ছিল তার। জনগণের চাপে পাঠ করেছিল।’

ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাদের খান, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ কামাল, উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি।

Link copied!